জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না: কল্যাণ

কল্যাণ
কল্যাণ

টিভি নাটক এবং বিজ্ঞাপনচিত্রে সাফল্যের পর চলচ্চিত্র অঙ্গনেও পা রেখেছেন বর্তমান প্রজন্মের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেতা কল্যাণ। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি ‘পিতা’। দুই বছর বিরতির পর আবার তিনি ঢালিউডে ফিরলেন খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত ‘জোনাকির আলো’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। ‘জোনাকির আলো’ মুক্তি পেয়েছে ১৪ এপ্রিল। ছবিটিতে তাঁর সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন মিম ও ইমন। ঢালিউডে দুই বছর বিরতির কারণ, চলচ্চিত্রে অভিনয় নিয়ে পরিকল্পনা, প্রস্তুতি এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন কল্যাণ। 
‘জোনাকির আলো’ প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেছেন?
পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু ও সহশিল্পীদের সঙ্গে মুক্তির প্রথম দিনেই আমি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখেছি। পহেলা বৈশাখে যেহেতু এটি মুক্তি পেয়েছে, তাই উত্সবমুখর একটা পরিবেশ ছিল। দর্শকদেরও অনেক ভিড় ছিল। দর্শকদের সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে, তাঁরা ছবিটি ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। এজন্য খুব ভালো লেগেছে। 
‘জোনাকির আলো’ তো ত্রিভুজ প্রেমের গল্প, বাস্তবে এরকম হলে কী করতেন?
আমি বিশ্বাস করি, জোর করে ভালোবাসা পাওয়া যায় না। ভালোবাসার মানুষকে মুক্ত করে দেওয়া উচিত। যদি সে সত্যিই ভালোবাসে তাহলে ফিরে আসবেই। যদি সে দূরে চলে যায় বুঝতে হবে এটা আমার ব্যর্থতা। বাস্তবে এরকম হলে আমি চাইতাম, আমার ভালোবাসার মানুষটি যেভাবে খুশি ভালো থাকুক।
ঢালিউডে দুই বছর বিরতি নেওয়ার কারণ কি?
আসলে আমি সবকিছু ভালোভাবে বুঝে-শুনে করতে চাই। গত দুই বছরে অনেক চলচ্চিত্রেই কাজের প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু রাজি হইনি। কারণ আমি চেয়েছিলাম, ‘জোনাকির আলো’ ভালোভাবে শেষ করতে। দর্শকরা বাণিজ্যিক ছবিতে আমাকে কীভাবে নেন, সেটাও ভাবার বিষয় ছিল। আমি মনে করি, দর্শকদের প্রথম অনুভূতি আমার প্রতি যদি ভালো হয়, তাহলে আমি ভালোভাবেই কাজ করতে পারব। তাই এই অপেক্ষা। এখন চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার কথা ভাবছি। ‘জোনাকির আলো’ মুম্বাইয়ের দ্বাদশ এশিয়ান চলচ্চিত্র উত্সবে অডিয়েন্স চয়েজ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর চলচ্চিত্রের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে গেছে।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
প্রায় সাত মাস ধরে টানা জিম করছি। খাবারের ব্যাপারেও অনেক সচেতনতা অবলম্বন করছি। এ ছাড়া নিয়মিতভাবে দেশ-বিদেশের অনেক ছবি দেখছি। আমি মনে করি, চলচ্চিত্র একটা স্থায়ী মাধ্যম। নাটক হারিয়ে গেলেও, ভালো চলচ্চিত্র সবার হূদয়ে গেঁথে থাকে। তাই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
কী ধরনের চরিত্র আপনার পছন্দ?
যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রই আমার পছন্দ।
অভিনয়ের বাইরে আর কী করতে জানেন?
ছোটবেলায় তবলা এবং গিটার বাজানো শিখেছিলাম। আমার বাবা চেয়েছিলেন, আমি যেন সংগীত চর্চা করি। এখনও আমি তবলা বাজাতে পারি।

অবসরে কি করেন?

আমার একটি পোষা কুকুর আছে। ছয়-সাত বছর ধরে সে আমার কাছেই আছে। অবসর পেলেই তার সঙ্গে সময় কাটাই। এর বাইরে আমি প্রচুর ক্রিকেট খেলা দেখি। মুশফিক এবং মাশরাফির খেলা আমার অনেক ভালো লাগে।