দন্তচিকিত্সক থেকে আইটেম গার্ল নায়লা

চিকিত্সক থেকে আইটেম গার্ল
চিকিত্সক থেকে আইটেম গার্ল

পাঁচ বছর ধরেই মডেলিং জগতের সঙ্গে যুক্ত আছেন দন্তচিকিত্সক নায়লা নাঈম। তবে তিনি আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালে গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে। আলোচনার পাশাপাশি তিনি সমালোচিতও হয়েছেন ভার্চুয়াল জগতে খোলামেলা বেশ কিছু স্থিরচিত্র প্রকাশ করে। সম্প্রতি এই মডেল তিনটি চলচ্চিত্রের আইটেম গানের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে আইটেম গান নয়, নায়িকা হওয়াই তাঁর মূল লক্ষ্য।

নায়লা বলেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরেই মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত আছি। চিকিত্সা পেশার ব্যস্ততার জন্য নিজেকে পুরোপুরিভাবে মিডিয়ার কাজের সঙ্গে জড়াতে পারিনি। পরিবারের সবার সহযোগিতায় আমি এখন নিজেকে পুরোপুরিভাবে মডেলিংয়ে নিয়োজিত রাখছি। মডেলিং করার সময় অনেকেই আমাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবগুলো পাওয়ার পর মনে হলো, যদি অভিনয়ই করতে হয়, তাহলে ছোট পর্দা নয়, বড় পর্দা আমার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। তারপর সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করি। শুরুতে বেশ কয়েকজন নির্মাতা আইটেম গানে কাজ করার প্রস্তাব দেন। সেখান থেকে তিনটি চলচ্চিত্রের ভাবনা পছন্দ হওয়ায় কাজ করতে রাজি হই। তবে আমার মূল লক্ষ্য চলচ্চিত্রে নায়িকা হওয়া। সেভাবেই আমি নিজেকে প্রস্তুত করছি। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রের প্রধান নায়িকা হিসেবে দুটি চলচ্চিত্রের জন্য চুক্তিবদ্ধও হয়েছি।’

ফেসবুক কিংবা বিভিন্ন অনলাইনে আপনার প্রকাশিত ছবিগুলো কিন্তু সমালোচনার জন্ম দিয়েছে বলে অনেকের অভিমত। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নায়লা বলেন, ‘ছবিগুলো দেখে অনেকে কিন্তু প্রশংসা করছে। তবে সমালোচনাও যে করছে না, তা নয়। আমার কথা হচ্ছে দেশের বাইরের মডেলরা যদি নিজেদের সৌন্দর্যটাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন, আমরা কেন পারব না। তা ছাড়া আমি ছবিগুলোকে মোটেও খারাপভাবে দেখছি না।’


নায়লা নাঈম এরই মধ্যে একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। তাপসের ‘কত ভালোবাসি’ শিরোনামের এই গানের ভিডিওতে বেশ খোলামেলাভাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সামনে এই মডেল প্রীতম আহমেদের একটি গানের মডেল হবেন বলেও জানিয়েছেন।

ঢাকার একটি বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ থেকে ২০১২ সালে স্নাতক শেষ করেন নায়লা। এরপর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক হেলথ বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ঢাকার একটি চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখেন আলোচিত এই মডেল।