এবার হিন্দি গানে প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

জন্ম, বেড়ে ওঠা ভারতে হলেও বলিউডের অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সংগীত অভিষেক হয়েছে ইংরেজি গানের মাধ্যমে। প্রিয়াঙ্কার কণ্ঠে পরপর তিনটি ইংরেজি গান প্রকাশিত হওয়ার পর এবার হিন্দি গানে কণ্ঠ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন সাবেক এ বিশ্বসুন্দরী। বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা তাঁর অভিনীত পরবর্তী কয়েকটি ছবিতে প্লেব্যাক করার পরিকল্পনা করছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ভাষ্য, ‘এখন পর্যন্ত কেবল ইংরেজি গানেই আমি কণ্ঠ দিয়েছি। এবার আমি হিন্দি গান গাইতে চাই। আমার পরবর্তী কয়েকটি ছবিতে প্লেব্যাক করার পরিকল্পনা করছি। হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাকের সুযোগ পেলে সত্যিই আমার অনেক ভালো লাগবে। এরই মধ্যে হিন্দি গান গাওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। শিগগির আপনারা বিস্তারিত সবকিছু জানতে পারবেন। বরাবরই আমি ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি, সবার ভেতরই নিজের সাফল্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকা উচিত।’ এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে পিটিআই।
সংগীত ক্যারিয়ার নিয়ে খুশি কি না—জানতে চাইলে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘কখনোই ভাবিনি আমি সংগীতশিল্পী হব। তবে চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে থেকেই গানের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা ছিল। আমি সত্যিই গান অনেক ভালোবাসি। গান গাইতেও অনেক ভালো লাগে আমার। আমার বাবা মঞ্চে যখন গান গাইতেন, আমি তাঁকে সঙ্গ দিতাম। প্রতিটি মঞ্চ পরিবেশনায় একটি গান তিনি আমায় উত্সর্গ করে গাইতেন। বলা যায়, গানকে ঘিরেই আমার বেড়ে ওঠা।’

‘ইন মাই সিটি’, ‘এক্সোটিক’ গানের পর গত ২২ এপ্রিল প্রকাশিত হয়েছে প্রিয়াঙ্কার কণ্ঠে তৃতীয় ইংরেজি গান ‘আই ক্যান্ট মেক ইউ লাভ মি’। মার্কিন গায়িকা বনি রেইটের এ গানটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯১ সালে। নতুন সংগীতায়োজনে এবার গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এরই মধ্যে গানটির মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘বেশ কয়েকটি গান থেকে বাছাইয়ের পর ‘‘আই ক্যান্ট মেক ইউ লাভ মি’’ গানটিকে চূড়ান্ত করা হয়। বনি রেইটের ব্যালাড এ গানটিকে অতীতে অনেক গুণী সংগীতশিল্পীর কণ্ঠে শোনা গেছে। শৈশবে গানটি আমার খুব পছন্দের ছিল। হূদয় ভেঙে যাওয়ার পরও কীভাবে একটি মেয়ে তার জীবনের পথে এগিয়ে চলে, সেই গল্প তুলে ধরা হয়েছে গানটিতে। গানটির মধ্য দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তীব্র যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরও মেয়েটি ঠিকই টিকে আছে।’

প্রিয়াঙ্কা আরও বলেন, ‘সাধারণত এ ধরনের গানের মিউজিক ভিডিওতে বিষাদগ্রস্ত ও দুঃখী একটি মেয়ের মুখ তুলে ধরা হয়। কিন্তু হূদয় ভেঙে যাওয়ার দুঃখে কান্নাকাটি না করে মেয়েটি কীভাবে স্বাধীনতা উপভোগ করছে এবং সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটাই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমাদের মিউজিক ভিডিওতে।’