কেন্দুয়ায় হুমায়ূনের স্মরণে বয়াতির জাদুঘর

হ‌ুমায়ূন আহমেদ ও কুদ্দুস বয়াতি
হ‌ুমায়ূন আহমেদ ও কুদ্দুস বয়াতি

একসময় বাংলাদেশের পথে প্রান্তরে নিজের মতো করে গান করতেন কুদ্দুস বয়াতি। দেশের মানুষের কাছে তাঁর পরিচিতি এনে দেন কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদ। প্রয়াত এই লেখকের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করতে তাঁর নামে জাদুঘর নির্মাণ করছেন কুদ্দুস বয়াতি। নাম ‘হ‌ুমায়ূন আহমেদ জাদুঘর’।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভা-সংলগ্ন রাজিবপুর এলাকায় ৯০ শতাংশ জমির ওপর কুদ্দুস বয়াতির উদ্যোগে চারতলা একটি ভবন তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিচতলায় জাদুঘরের কর্মকাণ্ড শুরু হলেও পরে পুরো চারতলা ভবনটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কুদ্দুস বয়াতি ফাউন্ডেশন এই ভবনটি নির্মাণের তদারকি করছে।

৯০-এর দশকের শুরুর দিকে জনসচেতনতামূলক ‘এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে’ এমন কথার একটি গান নিয়ে হাজির হন কুদ্দুস বয়াতি। হ‌ুমায়ূন আহমেদের লেখা ও কুদ্দুস বয়াতির সুর করা এই গানটি রাতারাতি পরিচিতি এনে দেয় বয়াতিকে। এরপর হ‌ুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন নাটকের মধ্য দিয়েও বয়াতি ব্যাপক পরিচিত পান।

কুদ্দুস বয়াতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কুদ্দুস বয়াতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘হ‌ুমায়ূন আহমেদ স্যারই আমাকে রাস্তা থেকে তুলে এনে দেশে ও দেশের বাইরের মানুষের কাছে পরিচিত করেছেন। আমি আজ যা কিছু হয়েছি, তার পুরোটাই স্যারের কারণে। স্যারের মৃত্যুর পর তাঁর জন্য কিছু একটা করার ইচ্ছা পোষণ করি। অত বড় কিছু সম্ভব নয়, তার পরও তাঁরই সৃষ্টিকর্মগুলো মানুষের মাঝে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জাদুঘর তৈরির ভাবনা মাথায় আছে। আমি তাঁর মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চাই।’
আগামীকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে হুমায়ূন আহমেদের ভাই আহসান হাবীবের বাসায় তাঁর মা আয়েশা ফয়েজের ‘হ‌ুমায়ূন আহমেদ জাদুঘর’-এর ওয়েবসাইট উদ্বোধন করার কথা। আর মাস ছয়েক পর কেন্দুয়ায় হ‌ুমায়ূন আহমেদ জাদুঘরটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানালেন কুদ্দুস বয়াতি।