রবিন উইলিয়ামসের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত

রবিন উইলিয়ামস
রবিন উইলিয়ামস

গত আগস্ট মাসে গলায় বেল্ট বা কোমরবন্ধনীর ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রখ্যাত মার্কিন কৌতুকশিল্পী ও অভিনেতা রবিন উইলিয়ামস। দরজার চৌকাঠে ফাঁস নেন তিনি। কয়েক বছর ধরে অ্যালকোহল ও মাদক ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন রবিন। মৃত্যুর এক মাস আগেই মাদকাসক্তি পুনর্বাসনকেন্দ্র ঘুরে আসতে হয়েছিল তাঁকে। মৃত্যুর আগ মুহূর্তে অ্যালকোহল বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ মাদক তিনি গ্রহণ করেছিলেন কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। অবশেষে গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত রবিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুর আগ মুহূর্তে অ্যালকোহল বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ মাদক গ্রহণ করেননি রবিন।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে রবিনের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ফাঁস নেওয়ায় অক্সিজেনের ঘাটতিতে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। মৃত্যুর সময় তাঁর শরীরে অ্যালকোহল বা নিষিদ্ধ কোনো মাদকের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু বিষণ্নতা রোগের জন্য ব্যবহৃত দুই ধরনের অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, পারকিনসন রোগের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের উপাদান, চা ও কোকোয়াতে পাওয়া যায় এমন এক ধরনের উপাদান ও ক্যাফেইন পাওয়া গেছে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজ বাসা থেকে গত ১১ আগস্ট সকালে রবিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। ফাঁস নেওয়ার পাশাপাশি কবজির রগ কেটেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন রবিন। মৃত্যুর পর তাঁর পকেটে খুঁজে পাওয়া ছুরির রক্তের সঙ্গে কবজিতে শুকিয়ে যাওয়া রক্তের মিল পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, অ্যাসফিক্সিয়া বা অক্সিজেনের ঘাটতিতে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু।
বিষণ্নতা ও দুশ্চিন্তার পাশাপাশি পারকিনসনস রোগে ভুগছিলেন রবিন উইলিয়ামস।