গানে গানে ফিরোজা বেগম স্মরণ

ডেইলি স্টার ভবনের এ এস মাহমুদ মিলনায়তনে গতকাল ফিরোজা বেগম স্মরণে স্টার মেলোডিজ আয়োজিত সংগীতাঞ্জলি ‘দূর দ্বীপবাসিনী’ অনুষ্ঠানে মাকে নিয়ে বলছেন ছেলে শাফিন আহমেদ l ছবি: প্রথম আলো
ডেইলি স্টার ভবনের এ এস মাহমুদ মিলনায়তনে গতকাল ফিরোজা বেগম স্মরণে স্টার মেলোডিজ আয়োজিত সংগীতাঞ্জলি ‘দূর দ্বীপবাসিনী’ অনুষ্ঠানে মাকে নিয়ে বলছেন ছেলে শাফিন আহমেদ l ছবি: প্রথম আলো

শিল্পী মানুষ ঠিক যতটা সৌরভ ছড়িয়ে দেন চার পাশে, ভিড়ের মধ্যে ঠিক যেভাবে আলাদা করে চেনা যায়, ফিরোজা বেগম ঠিক তেমনই। নজরুলের গানগুলো খুব যত্ন করে গাইতেন তিনি। ভেতর থেকে গাইতেন। ডুবে যেতেন সুরে। মানিয়ে যেত তাঁর কণ্ঠে। তাই তো ফিরোজা বেগম স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির শিরোনাম করা হলো নজরুলের গান দিয়ে—‘দূর দ্বীপবাসিনী’। দ্বিতীয় পর্বে পরিবেশিত হয় কমল দাশগুপ্তের সুরারোপিত আধুনিক গান।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউর ডেইলি স্টার ভবনের এ এস মাহমুদ হল মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয় কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমকে স্মরণ করতে। স্টার মেলোডিজ, দ্য ডেইলি স্টার-এর আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সুরে সুরে স্মরণ করা হলো ফিরোজা বেগমকে।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার পাশাপাশি ফিরোজা বেগমের জীবনী পাঠ করেন ডেইলি স্টার-এর আর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট এডিটর সাদিয়া আফরিন মল্লিক। মাকে নিয়ে কথা বলেন ফিরোজা বেগমের ছেলে শাফিন আহমেদ।
ফিরোজা বেগমের ভাইয়ের মেয়ে সুস্মিতা আনিসের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু মূল আয়োজন। নজরুলের বাণী ও কমল দাশগুপ্তের সুরে গেয়ে শোনান ‘ওরে শুভ্র-বসনা রজনীগন্ধা’। তার পরের গানটি ছিল ‘আমি চাঁদ নহি অভিশাপ’। শিল্পী অনিমা মুক্তি শোনান ‘মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর’ ও ‘আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম’। ফাহমিদা নবী গাইলেন ‘দূর দ্বীপবাসিনী’ ও ‘বুলবুলি নীরব নার্গিস বনে’। নাসিমা শাহীন পরিবেশন করেন ‘মনে পড়ে আজ’ ও ‘আমি চিরতরে দূরে চলে যাব’।
এরপর শুরু হয় আধুনিক গানের পরিবেশনা। এ পর্বের শুরুতেই সুস্মিতা আনিস গাইলেন ১৯৪২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শেষ উত্তর চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত কমল দাশগুপ্তের সুরারোপিত গান ‘লাগুক দোলা লাগুক দোল’। তার পরের পরিবেশনাটি ছিল ১৯৪৪ সালে প্রণব রায়ের কথা ও কমল দাশগুপ্তের সুরারোপিত ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের গান ‘মোর জীবনের দুটি রাতি’।
অনুপমা মুক্তির কণ্ঠে গীত হয় শেষ উত্তর চলচ্চিত্রের আরেকটি গান ‘আমি বনফুল গো’ ও ‘তুমি কি এখন দেখিছ স্বপন’। নাসিমা শাহীন শোনান ‘এমনই বরষা ছিল সেদিন’ ও ‘যেথা গান থেমে যায়’। গানে গানে শ্রদ্ধাঞ্জলির পর্বের সমাপ্তি হয় ফাহমিদা নবীর গান দিয়ে। গেয়ে শোনান ‘দুটি পাখি দুটি তীরে’ ও ‘এই কি গো শেষ দান’।