নিজের জন্য বাজাই

মৃদঙ্গসহ সম্মিলিত তালবাদ্যের অনন্য পরিবেশনার মাধ্যমে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের দ্বিতীয় দিনে সবাইকে
মোহিত করেছেন গুরু করাইকুড়ি মানি। গত শুক্রবার পরিবেশনা শেষে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেন এই অতিথি

করাইকুড়ি মানি
করাইকুড়ি মানি

উৎসবে পরিবেশনার অনুভূতি...
উচ্চাঙ্গসংগীতের এমন উৎসব আমি আগে কোথাও দেখিনি। ভারতেও উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব হয়, কনসার্ট হয়, কিন্তু কখনোই দর্শক-শ্রোতার এত বিপুল পরিমাণ উপস্থিতি আর উচ্ছ্বাস চোখে পড়েনি। ত্রুটি-বিচ্যুতিহীন এমন সুন্দর আয়োজনও দেখিনি কোথাও—এটি সত্যিই মুগ্ধ করার মতো।
পরিবেশনা শেষে প্রায় ৪০ হাজার দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছে আপনাদের। কেমন লাগছিল তখন?
উচ্চাঙ্গসংগীতের জন্ম ভারতে। ভারত ছাড়া পৃথিবীর অন্য দেশে এ সংগীতের কদর তেমনভাবে নেই। কিন্তু বাংলাদেশের দর্শক-শ্রোতার প্রতিক্রিয়ায় আমি দারুণ অভিভূত! আমাদের পরিবেশনায় কোনো ‘গিমিক’ ছিল না, দর্শকের সঙ্গে সরাসরি কোনো বিনিময়ও হয়নি।
কিন্তু তারা ঠিকভাবেই সমঝদারি করেছে। বুঝেছে, কখন, কোথায়, কীভাবে সাড়া দিতে হবে—এটা আমাকে খুবই বিস্মিত করেছে।
পরিবেশনার সময় দর্শকের দিকে একবারও তাকাননি আপনি। কেন?
আমি নিজের জন্য বাজাই, দর্শকের জন্য বাজাই না। কে, কীভাবে শুনছে, এটা আমাকে তাড়িত বা আলোড়িত করে না।
তবলা বা অনান্য যন্ত্রের চেয়ে বা সম্মিলিত তালবাদ্যের (পারকারসন) সঙ্গে মৃদঙ্গ এত জনপ্রিয় কেন?
আমি মনে করি, সম্মিলিত তালবাদ্যের সঙ্গে মৃদঙ্গই সেরা।
আলতাফ শাহনেওয়াজ