'অনন্যা' পুরস্কার পেলেন জাহানারা নওশিন

‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার’ অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) শামীম আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, জাহানারা নওশিন, তাসমিমা হোসেন ও আসাদ চৌধুরী l প্রথম আলো
‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার’ অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) শামীম আজাদ, সৈয়দ শামসুল হক, জাহানারা নওশিন, তাসমিমা হোসেন ও আসাদ চৌধুরী l প্রথম আলো

‘তারপর কেউ কেউ বলল, একটু গল্প টল্প লেখ! আমি লিখলাম! এই আর কি!’ নিজের লেখক হিসেবে গড়ে ওঠার গল্পটা এভাবেই বললেন কথাসাহিত্যিক জাহানারা নওশিন। সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এ বছর ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২১’ পেয়েছেন তিনি।
পুরস্কার নেওয়ার পর লেখক বলেন, ‘কাজের মূল্যায়ন হলে কার না ভালো লাগে, আমি সম্মানিত বোধ করছি। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করে “এত দিন লেখেননি কেন?”লেখা ছাপা হওয়াটা আমার জন্য অত্যন্ত লজ্জার। এত দিন লিখিনি সেটা অবহেলার জন্য নয়, আমার লেখা কীভাবে নেবে মানুষ, ছাপা হবে কিনা, সেটা নিয়ে অত্যন্ত লজ্জায় ছিলাম।’
গতকাল মঙ্গলবার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাক্ষিক অনন্যা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক সৈয়দ শামসুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি আসাদ চৌধুরী ও কবি শামীম আজাদ।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ও সাংবাদিক জগ্লুল আহ্মেদ চৌধূরীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকা ঝর্ণা রহমান জানান, জাহানারা নওশিনের প্রকাশিত প্রথম বইয়ের প্রচ্ছদ করেছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন পাঁচজন নারী কবি। পুরস্কার বিতরণী ছিল অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে।
জাহানারা নওশিনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন কবি আসাদ চৌধুরী। লেখকের হাতে ক্রেস্ট এবং সম্মাননা অর্থ ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন সৈয়দ শামসুল হক এবং পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক, অনুষ্ঠানের সভাপতি তাসমিমা হোসেন।
সৈয়দ শামসুল হক বলেন, ‘এ জীবন আমাদের কাছ থেকে যা ফিরিয়ে নেয়, তার থেকেও ১০ গুণ বেশি ফিরিয়ে দেয়। তবে সেটা আমাদের নিতে হবে আবিষ্কারের মাধ্যমে, অনুমোদনের মাধ্যমে এবং মূল্যায়নের মাধ্যমে। তেমনি একটি আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা প্রায় অপরিচিত উপেক্ষিত জাহানারা নওশিনকে পেয়েছি।’
জাহানারা নওশিনের নয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই বৃক্ষে বৃক্ষে বিষকরবী। দুটি উপন্যাস, তিনটি গল্পগ্রন্থ, একটি কিশোরগ্রন্থ, একটি শিশুতোষ এবং একটি কলাম সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের বড় বোন।
শ্যাম বেনেগাল আসছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে
কাল বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে ‘১৩তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব, ঢাকা-২০১৪’। আট দিনের এ উৎসবে দেখানো হবে ৪০ দেশের ২০০টি ছবি। বাংলাদেশের ২৭টি ছবির মধ্যে আটটি অংশ নেবে প্রতিযোগিতা বিভাগে। উৎসবে মূল অতিথি প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির দোতলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন ইউসুফ, শর্টফিল্ম ফোরামের সভাপতি মানজারে হাসিন মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক অনুপম সৈকত, নির্মাতা জাহিদুর রহিম, উৎসব পরিচালক তারেক মাহমুদ। ছবিগুলো প্রদর্শিত হবে ছয়টি ভেন্যুতে। মূল উৎসব কেন্দ্র তিনটি: বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন, জাতীয় গণ-গ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশবিদ্যালয়ে ৭-৯ ডিসেম্বর, ধানমন্ডির রাশিয়ান বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিকেন্দ্রে ৫-৭ ডিসেম্বর ও ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ৫, ৬ ও ১১ ডিসেম্বর ছবি দেখা যাবে।