অস্কার, 'ইডা' আর বাংলাদেশের ছবি

অস্কার হাতে (বাঁ থেকে) সেরা পার্শ্ব–অভিনেতা জে কে সিমনস, সেরা পার্শ্ব–অভিনেত্রী প্যাট্রিসিয়া আরকেত্তে, সেরা অভিনেত্রী জুলিয়ান মুর ও সেরা অভিনেতা এডি রেডমেইন l ছবি: এএফপি
অস্কার হাতে (বাঁ থেকে) সেরা পার্শ্ব–অভিনেতা জে কে সিমনস, সেরা পার্শ্ব–অভিনেত্রী প্যাট্রিসিয়া আরকেত্তে, সেরা অভিনেত্রী জুলিয়ান মুর ও সেরা অভিনেতা এডি রেডমেইন l ছবি: এএফপি

হলিউডে রুদ্ধশ্বাস অস্কার উত্তেজনার মাঝে উঠে এল বাংলাদেশের ছবির নাম। মনে রাখার মতো ব্যাপার তো বটেই। ঘটনা ২১ ফেব্রুয়ারির। আসন্ন অস্কার রাতের উত্তেজনায় কাঁপছে সিনেমা–দুনিয়া। এর মধ্যে হলিউডের স্যামুয়েল গোল্ডউইন থিয়েটারে বসেছে বিদেশি ভাষার ছবির বিভাগে সেরা পাঁচ মনোনয়নপ্রাপ্তদের আলোচনা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এবং মধ্যমণি মার্ক জনসন। ভদ্রলোক এবারের ভিনদেশি ভাষার ছবির বিভাগে বিচারকদের চেয়ারম্যান। মার্ক জনসন বলছিলেন, অস্কারে মোট ৮৩টি দেশের ছবি জমা পড়েছে তাঁর বিভাগে। দুই মাসে ৮৩টি ছবি দেখা ছিল তাঁদের জন্য কঠিন এক কাজ। বিচারকাজে বসে প্রথম যে ছবিটি তাঁরা দেখেছিলেন, সেটি পোল্যান্ডের ইডা। আর একদম ৮৩ নম্বরে? সেই ছবির নামও মার্ক পরিষ্কার করে বলেছেন। ছবিটি বাংলাদেশের জোনাকির আলো (গ্লো অব দ্য ফায়ারফ্লাই)।       মার্ক জনসন হয়তো কথার কথাই বলেছিলেন। অথবা ভদ্রলোককে আমরা ধন্যবাদ দিতে পারি,  তিনি অস্কার-দৌড়ে বহু আগেই বাদ পড়ে যাওয়া বাংলাদেশের ছবিটির নাম মনে রেখেছেন বলে।

ভিনদেশি ভাষার ছবির বিভাগে সেরা পোল্যান্ডের ইডা
ভিনদেশি ভাষার ছবির বিভাগে সেরা পোল্যান্ডের ইডা



কিন্তু পরদিনই সবার আগে দেখা পোল্যান্ডের ছবি ইডা ভিনদেশি ভাষার ছবির বিভাগে অস্কার জিতে নেওয়ার পর মার্কের কথাটার অন্য মানে হতে পারে। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ তো আসলে এই ভিনদেশি ছবির বিভাগই। অস্কারের এই বিভাগেই তো আমরা প্রতিবছর কমসে কম ‘অংশগ্রহণের আনন্দ’ পাই। এবার এই বিভাগে ছিল গোল্ডেন গ্লোব বিজয়ী রাশিয়ার লিভায়াথান, টিমবাকটু (মৌরিতানিয়া) বা ওয়াইল্ড টেলসের (আর্জেন্টিনা) মতো ছবি। এসব ছবিকে হটিয়ে এক এতিম ক্যাথলিক নানের গল্প নিয়ে তৈরি পোল্যান্ডের ইডা বিজয়  আমাদের জন্য তাই অধিক দরকারি খবর। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বাকি বিশ্বের কাছেও হয়তো ব্যাপারটা তাই। 
চলুন ফিরে যাই বিশ্ব সিনেমার সবচেয়ে সুপরিচিত এই পুরস্কার আসরের সামনের সারির বিজয়ীদের কথায়।