কাছে থেকে আনা ফ্রাঙ্ককে দেখা

আনা ফ্রাঙ্ককে আরও কাছে থেকে দেখার সুযোগ করে দিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অবস্থিত আনা ফ্রাঙ্ক হাউস যৌথভাবে আয়োজন করেছে একটি প্রদর্শনীর। শিরোনাম ‘আনা ফ্রাঙ্ক: আ হিস্ট্রি ফর টুডে’। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে গতকাল সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি, প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

প্রদর্শনীতে একই সমান্তরালে স্থান পেয়েছে হিটলার ও তাঁর নাৎসি দলের উত্থান এবং আনা ও তার পরিবারের অত্যাচারিত ও অসহায় জীবন, যার শেষ ঘটে আনাসহ পরিবারের প্রায় প্রত্যেক সদস্যের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। একমাত্র আনার বাবা ওটো ফ্রাঙ্ক বেঁচে যান।

জীবনের প্রথম কয়েক বছর আনার কাটে জার্মানিতে। হিটলার ক্ষমতায় এলে জার্মানি ইহুদিদের জন্য অনিরাপদ হয়ে পড়ে। এ সময় আনার বাবা ওটো ফ্রাঙ্ক আমস্টারডামে চাকরি পেলে পুরো পরিবার সেখানে চলে যায়। আনা তখন স্বাভাবিক একটি স্কুলে পড়ছিল, যেখানে সব ধর্মের শিক্ষার্থীরাই পড়ত। হিটলারের জার্মানি নেদারল্যান্ডস দখল করলে এখানেও হিটলারের শাসন জারি হয়। ইহুদিবিরোধী আইনের কারণে তখন আনাদের যেতে হতো আলাদা স্কুলে। ১৯৪২ সালে তার ১৩ বছরের জন্মদিনে আনা উপহার পেয়েছিল একটি ডায়েরি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বন্দী অবস্থায় আনা তার স্মৃতি লিখে রেখেছিল এই ডায়েরিতে। সেই সময়ের পুরো ইতিহাসই তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীতে। গ্যালারির এক পাশে দেখানো হচ্ছে আনা ফ্রাঙ্ক হাউস নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র দ্য শর্ট লাইফ অব আনা ফ্রাঙ্ক

জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য তারিক আলী।