প্রবাসী শিল্পী সৈয়দ ইকবালের ‘রং উৎস হূদয়’ শীর্ষক একক চিত্রকলা প্রদর্শনী শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার। ১৯৫৩ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী দেশে এবং দেশের বাইরে শিল্পচর্চা করছেন। দীর্ঘদিনের চর্চা ও সাধনায় সৈয়দ ইকবাল চিত্রকলার অভিযাত্রায় যে বৈশিষ্ট্য ও চিত্রশৈলী আয়ত্ত করেছেন, ‘রং উৎস হূদয়’ প্রদর্শনীতে তার প্রতিফলন ঘটেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় বেঙ্গল শিল্পালয়ে ১০ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে কানাডার রাষ্ট্রদূত হিদার ক্রুডেন ও নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
প্রদর্শনীতে মোট চিত্রকর্মের সংখ্যা ৪৮। উদ্বোধনীতে বক্তারা শিল্পীর কাজ সম্পর্কে বলেন, শিল্পী সৈয়দ ইকবাল একজন সমাজসচেতন শিল্পী। যদিও তাঁর সৃজনকৌশলে বিমূর্ততার ছাপ স্পষ্ট, তবু পর্যবেক্ষণগুণে ও বিষয়ের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য রূপায়ণে সত্যিকার অর্থেই তিনি একজন কুশলী শিল্পী।
প্রদর্শনীর ছবিগুলো একদিকে কাব্যগুণসমৃদ্ধ এবং অন্যদিকে সমকালীন জীবনযন্ত্রণাসিক্ত। বাংলাদেশের সমাজবাস্তবতায় ভয়, ত্রাস ও শঙ্কা আমাদের যে অনিশ্চিতবোধে তাড়া করে ফেরে, তাঁর কয়েকটি চিত্রে তা ফুটে উঠেছে। শিল্পীর আঁকা মুখাবয়বে এই বোধ স্পষ্ট। প্রদর্শনী চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
প্রকাশিত হচ্ছে বিলুপ্ত সিলেটি ‘নাগরী গ্রন্থসম্ভার’
বাংলা ভাষার রয়েছে একাধিক বর্ণমালা বা লিপি। একটি প্রমিত বাংলা বর্ণমালা, অপরটি সিলেটি নাগরীলিপি। উৎস প্রকাশনের উদ্যোগে বাংলা ভাষার ঐতিহ্যিক নিদর্শন বিলুপ্ত সিলেটি নাগরীলিপির ২৫টি পুঁথি প্রকাশিত হচ্ছে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি।
নাগরীলিপিতে রচিত হয়েছে শত শত গ্রন্থ, দলিল-দস্তাবেজ এবং পরিচালিত হয়েছে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কার্যক্রম। প্রায় ৬০০ বছর বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, প্রধানত সিলেট অঞ্চলে প্রচলিত ছিল এ লিপির সাহিত্য। নাগরীলিপিতে রচিত পুঁথি-পুস্তক বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়। এর পুনরুদ্ধারের জন্য প্রকাশিত হচ্ছে বিলুপ্ত নাগরীলিপির ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ পুঁথি—নাগরী গ্রন্থসম্ভার।
উৎস প্রকাশনের মোস্তফা সেলিম জানান, এতে নাগরীলিপির পাশাপাশি বাংলা লিপ্যন্তর সংযোজন করা হয়েছে। গ্রন্থের পরিশেষে যুক্ত হয়েছে আঞ্চলিক শব্দাবলির অর্থ এবং পাশাপাশি নাগরীলিপি ও বাংলা বর্ণমালার বর্ণচিত্র। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ ছাড়ে অগ্রিম গ্রাহকদের জন্য মূল্য পাঁচ হাজার টাকা। গ্রাহক হতে আগ্রহী ব্যক্তিরা সরাসরি উৎস প্রকাশন, ১২৭ আজিজ সুপার মার্কেট (৩য় তলা), শাহবাগ, ঢাকা অথবা ০১৭১৫৪০৪১৩৪ নম্বরে ফোন করে বিস্তারিত জানতে পারবেন।