ছবিতে হৃদয় চিরে বের করেছি, দিস ইজ অ্যানিমেশন

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ছবির একটি দৃশ্য
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ছবির একটি দৃশ্য

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বর্তমান বাস্তবতার গল্প। তারকাজগতে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, ভুল পথে পা বাড়ায় অনেকেই। এই ছবিতে বর্ষার চরিত্রকে আমি মাল্টিপল চরিত্র হিসেবে তুলে ধরেছি। আর আমি যে চরিত্রটি করেছি, অনেকের জীবনের সঙ্গে তা কোনো না কোনোভাবে মিলে যাবেই। তাই আমার ছবি শুধু তরুণ নয়, সব ধরনের দর্শকই দেখছেন। মানুষ বুঝছে যে ছবিতে বাস্তবতা আছে। ছবির বিষয়বস্তু শুধু ভালোবাসা নয়, আরও অনেক কিছু। অনেকে বলেন, ছবিটি আমার ও বর্ষার জীবনকাহিনি নিয়ে বানানো। হয়তো আমাদের জীবনের কিছু ঘটনা এখানে আছে, তবে এর সঙ্গে অনেক রটনাও তো আছে। আসলে মানুষের জীবনে যেসব বাস্তবতা আছে, সেটিকে আমরা কাহিনিতে রূপ দিয়েছি। বাস্তবতা নিয়ে সিনেমা করলে সেটি মানুষকে টাচ করে। এ ছাড়া বিশ্বমানের প্রযুক্তির ব্যবহারও আমার ছবিকে আলাদা করে তুলেছে। অনেকে কথায় কথায় বলে যে ‘হূদয় চিরে যদি তোমাকে দেখাতে পারতাম’। আমি তাই এই ছবিতে হূদয় চিরে বের করে এনেছি, দিস ইজ অ্যানিমেশন। ঘরে ঘরে মানুষ আজ আলোচনা করছে যে অনন্ত দেখিয়ে দিয়েছে, হূদয় চিরেও দেখানো যায়! এসব সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির কল্যাণে।

মানুষ এটি নিয়ে কথা বলে, মজা পায়। আমি আসলে কথা না, কাজে বিশ্বাসী। এখানে যে হূদয়টি দেখানো হয়েছে, সেটি সিম্বলিক হূদয়। মানুষ এটি এনজয় করেছে। তবে এটি দেখে হাসাহাসি করেছে অল্পসংখ্যক লোক। আমি এসব কানে তুলতে চাই না। একটি মানুষের ভাবনায় যখন ক্রোধ থাকে, সে তখন সবকিছু জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিতে চায়। এ ছবিতে নিজের লেখা ‘হোয়াট ইজ লাভ’ গানে আমি তা দেখাতে চেয়েছি। ছবির প্রতিটি সংলাপ ও দৃশ্যে আমি ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ নামের সার্থকতা প্রমাণ করেছি।