বাংলাদেশে মঞ্চকর্মীরা ভালো কাজ করছেন

চুয়া সু পুংয়ের সঙ্গে পূজা সেনগুপ্ত l ছবি: র ম ইয়ং
চুয়া সু পুংয়ের সঙ্গে পূজা সেনগুপ্ত l ছবি: র ম ইয়ং

চুয়া সু পুং সিঙ্গাপুরের এসআইএম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ। একাধারে নাট্যকার, নির্দেশক এবং পারফরমিং আর্টসের বিশেষজ্ঞ। আইটিআই আয়োজিত ‘দ্বিতীয় ঢাকা আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসব’-এ অংশ নিতে সম্প্রতি এসেছিলেন ঢাকায়। চীনা অপেরার ওপর একটি কর্মশালাও পরিচালনা করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার পূজা সেনগুপ্ত
বাংলাদেশে এসে কেমন লাগছে?
বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলাম ১৯৯১ সালে। তখন রমনা বটমূলে অনুষ্ঠান ছিল। বাংলাদেশের নাট্যকর্মীদের মধ্যে অসাধারণ ঐক্য আছে। বৃহত্তর স্বার্থে একত্র হয়ে তাঁরা জাতীয় নাট্যশালার মতো আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অবকাঠামো দাঁড় করিয়েছেন। এটা সত্যি খুব প্রশংসনীয়। আমার বিশ্বাস, শিল্পকলা একাডেমীর মতো দেশের অন্য একাডেমিগুলোও অনেক এগিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে।
উৎসবে কী কী নাটক দেখলেন?
নাট্যকেন্দ্রের দ্য সারভেন্ট অব টু মাস্টার্স (দুই যে ছিল এক চাকর) এবং সিএটির ম্যাকাব্রে। ম্যাকাব্রে নাটকে যাঁরা অভিনয় করেছেন, সবাই অনেক প্রশিক্ষিত, প্রযুক্তির অনেক ব্যবহার করা হয়েছে এখানে। দ্য সারভেন্ট অব টু মাস্টার্সও ভালো। তবে এর দৈর্ঘ্য একটু বেশি মনে হয়েছে।
পেশাদার আর শৌখিন—দুই ধরনের থিয়েটার সারা পৃথিবীতে প্রচলিত; এগুলোর মধ্যে মিল-অমিলের জায়গা কী কী?
পেশাদার থিয়েটার বা দলের নিজস্ব অফিস, মহড়াকক্ষ, স্টুডিও, সদস্যদের পারফরম্যান্সের ওপর একাডেমিক শিক্ষা ও উচ্চতর প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। তাঁরা নিজেদের কাজ নিয়ে গবেষণা করেন, মহড়া দেন আর এসবের বিনিময়ে সরকার তাঁদের মাসিক বেতন দেয়। এ জন্য কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন করতে হয়। শিল্পীদের বেতনের সামান্য অংশ সরকার নিয়মিত কেটে রাখে, যা অবসর নেওয়ার পর বেতন হিসেবে আবার তাঁদেরই দেওয়া হয়। চীনে এই নিয়ম প্রচলিত আছে এখনো। অ্যামেচার থিয়েটার অন্য পেশাজীবীদের শিল্প-সংস্কৃতির সংস্পর্শে থাকার সুযোগ করে দেয়, এতে সামাজিক সংযোগ বাড়ে। সমাজে দুটোরই প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশের মঞ্চকর্মীরা খুব ভালো কাজ করছেন, আমার অনেক লেখায় আমি তাঁদের কথা লিখেছি। ভবিষ্যতেও লিখব।