কাল ঢাকায় আসছেন শ্রেয়া

শ্রেয়া ঘোষাল
শ্রেয়া ঘোষাল

কাল শুক্রবার দুপুরেই ঢাকায় আসছেন ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাল সকাল আটটা চল্লিশ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে মুম্বাই ছাড়বেন শ্রেয়া। দুপুর বারোটা দশ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা বলে আয়োজক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

‘শ্রেয়া ঘোষাল নাইট’ শিরোনামে একটি সংগীত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন তিনি। এ অনুষ্ঠানের আয়োজক বে এন্টারটেইনমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা সাতটার পর মঞ্চে উঠবেন শ্রেয়া। টানা তিন ঘণ্টারও বেশি সময় মঞ্চে থাকবেন শ্রেয়া। এ ছাড়া অনুষ্ঠান শুরুর আগে এ তারকা শিল্পী সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে পারেন বলেও জানিয়েছে আয়োজকদের একটি সূত্র।
‘শ্রেয়া ঘোষাল নাইট’ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এরই মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে যন্ত্রশিল্পীদের একটি দল। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি হলের একক গানের অনুষ্ঠান শেষ করে পরদিনই ঢাকা ছাড়বেন শ্রেয়া। সর্বশেষ বছর পাঁচেক আগে ঢাকায় এসেছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল।
১৯৮৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরামপুরের বাঙালি পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন শ্রেয়া ঘোষাল। ত্রিশ বছর বয়সী এই গায়িকা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দীর্ঘদিনের বন্ধু শিলাদিত্যর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। শ্রেয়া ঘোষালের পূর্বপুরুষ বাংলাদেশের ঢাকার বিক্রমপুরের অধিবাসী। শ্রেয়ার দাদু সুধীর চন্দ্র ঘোষাল ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের আগেই কলকাতা চলে যান। শ্রেয়ার বাবা বিশ্বজিৎ ঘোষালের জন্ম সেখানেই। তবে বিক্রমপুরে এখনো শ্রেয়াদের অনেক স্বজন আছেন।
ভারতের জিটিভির ‘সা রে গা মা পা’ সংগীত প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে গানের গানের জগতে আসেন তিনি। ২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘দেবদাস’ ছবিতে প্লেব্যাকের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের গানে অভিষেক ঘটে তাঁর। এই চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের মধ্য দিয়ে বলিউডে নিজের অবস্থান করে নেন তিনি। এরই মধ্যে সেরা নারী সংগীতশিল্পী হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, আর ডি বর্মণ পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেয়া।
প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল। গান গেয়েছেন বাংলা, নেপালি, তেলেগু, তামিল, ভোজপুরি, মারাঠি, কন্নড়, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, মালয়ালম, ওড়ে ও অহমিয়া ভাষায়। শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে চারবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন গুণী এই শিল্পী।