সুফিয়া কামালের জন্মোৎসব

কবি সুফিয়া কামালের জন্মদিন উদ্‌যাপন উপলক্ষে গতকাল কেন্দ্রীয় কচি–কাঁচার মেলার শিশুদের নৃত্য পরিবেশনা l ছবি: প্রথম আলো
কবি সুফিয়া কামালের জন্মদিন উদ্‌যাপন উপলক্ষে গতকাল কেন্দ্রীয় কচি–কাঁচার মেলার শিশুদের নৃত্য পরিবেশনা l ছবি: প্রথম আলো

এক ঝাঁক শিশুর কণ্ঠে ‘গোল করো না, গোল করো না, ছোটন ঘুমায় খাটে; এই ঘুমকে কিনতে হলো নওয়াব বাড়ির হাটে...’ গান। বেগম সুফিয়া কামালের লেখা তিনটি শিশুতোষ ছড়া নিয়ে বাঁধা গানটি। কবির ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সকালে কচি-কাঁচা মিলনায়তনে কবির জন্মোৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি।
মেলার পরিচালক খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক-লেখক আবেদ খান। আলোচনায় অংশ নেন মেলার উপদেষ্টা শামসুল হুদা। এ ছাড়া সুফিয়া কামালকে নিয়ে কথা বলে শিশুবক্তা নিশাত।
কবিকে নিয়ে আলোচনায় প্রধান অতিথি আবেদ খান বলেন, ‘এখনকার শিশুদের সুফিয়া কামালের চেতনা আত্মস্থ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামগ্রিক জীবনে অপরিহার্য তিনি। আমরা তাঁর মতো করে প্রতিবাদ করতে না পারলেও তাঁর চেতনা ও বিশ্বাসকে যেন ধারণ করি।’
মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে কবিকন্যা সুলতানা কামাল বলেন, ‘জীবনকালে দেশের প্রায় সব সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি ভূমিকা রেখেছেন। সাহিত্যও রচনা করেছেন মানুষের জন্য। তিনি বিশ্বাস করতেন ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। আর আমৃত্যু ধারণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।’
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘কচি-কাঁচার মেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সুফিয়া কামাল। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের চেতনাকে তিনি ধারণ করতেন গভীরভাবে। আর সেই চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে পরের প্রজন্মের কাছে। নতুন প্রজন্মের কচি-কাঁচারা সেই চেতনা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে সুফিয়া কামালের কবিতা, কবিতা নিয়ে গান ও নাচ করে মেলার শিশুরা। ‘নাচ ময়ূরী নাচরে’ এবং ‘ধিতাং ধিতাং বোলে’ গানের সঙ্গে নাচে মেলার একঝাঁক শিশুশিল্পী; গেয়ে শোনায় ‘মেঘের কোলে দু হাত তুলে কোমল সুরে ডাকি বরষায়’, ‘জয় জয় জয় সুফিয়া কামাল’ ও ‘হে মহীয়সী নারী’সহ বেশ কয়েকটি গান।