গোয়েন্দা মাসুদ রানাকে নিয়ে গান

>গানের জগতে কনার পথচলা ১৬ বছরের। এই দীর্ঘ সময়ে তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা দুই শতাধিক। একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তিনটি। কণ্ঠ দিয়েছেন মিশ্র গানের অ্যালবামেও। সর্বশেষ একক সিম্পলি কনা প্রকাশিত হয়েছে বছর চারেক আগে। ঈদুল আজহায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর নতুন অ্যালবামের গান। এসব নিয়েই কথা বলেছেন তিনি
কনা l ছবি: প্রথম আলো
কনা l ছবি: প্রথম আলো

আপনার নতুন অ্যালবামের কাজ কত দূর?
তিনটি গান শেষ হয়েছে। সামনের ঈদেই শ্রোতারা গানগুলো শুনতে পারবেন। জিরোনা বাংলাদেশ থেকে গানগুলো প্রকাশিত হবে। এর সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন বাপ্পা মজুমদার ও ফুয়াদ। এর মধ্যে থাকবে একটি নজরুলসংগীত। আরেকটি গান হচ্ছে আলোচিত গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানাকে নিয়ে, এই গানটির কথা লিখেছেন শাহান কবন্ধ।
আপনার আগের অ্যালবামে একটি নজরুলসংগীত ছিল। এবারও তা হলে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন?
নজরুলসংগীত শিখে আমি বড় হয়েছি। তাই নজরুলের গানের প্রতি আমার অন্য রকম ভালো লাগা। আমি মনে করি, নজরুলের গান আমার মতো তরুণ শিল্পীর কণ্ঠে যদি থাকে, তা হলে হয়তো নতুন প্রজন্ম শোনার ব্যাপারে আরও আগ্রহী হবে। নিজেও তৃপ্তি পাব।
অ্যালবামের নতুন গানগুলো নিয়ে কি আগেরগুলোর মতো ভিডিও নির্মাণের পরিকল্পনা আছে?
অবশ্যই বানাব। এবার মিউজিক ভিডিও নিয়ে অনেক বেশি টেনশন হচ্ছে। আমার আগের মিউজিক ভিডিওগুলো ভালো হয়েছিল বলে অনেকের কাছে শুনেছি। তাই আমার কাছ থেকে দর্শকের প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে বলে মনে হয়। এখন ভাবি, এবারের ভিডিও যদি কোনোভাবে খারাপ হয়!
স্টেজ শো নিয়ে সম্প্রতি ফেসবুকে সবাই আপনার একটা মতামত দেখল...
দীর্ঘদিন ধরে মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভের কথাটা ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে উঠে এসেছে। আমাদের বেশির ভাগ আয়োজক ভারতের শিল্পীদের নিয়ে যতটা আন্তরিক, আমাদের ব্যাপারে ঠিক ততটাই উদাসীন। এটা কোনোভাবেই ঠিক বলে আমি মনে করি না। আমরা সবকিছুতে ভারতের সঙ্গে তুলনা করি। অথচ স্টেজ শোর ক্ষেত্রে পুরোপুরি পাল্টে যাই। ভারতের কোনো শিল্পীকে বাংলাদেশে আনার সময় সব ধরনের সহযোগিতা ও সুবিধা দেওয়া হয়। বাংলাদেশের কোনো শিল্পীকে বাইরের দেশে নেওয়ার বেলায় আয়োজকেরা অন্যান্য সাপোর্ট তো দূরের কথা, মিউজিশিয়ানের সহযোগিতাটুকুও দিতে চান না। এতে হয়তো আয়োজকদের অনেকে আমার ওপর রাগও করতে পারেন। তাতে আমি মোটেও বিচলিত নই। কারণ, আমি শ্রোতাদের বিভ্রান্ত করতে চাই না।
সাক্ষাৎকার: মনজুর কাদের