সিঙ্গাপুরে আয়োজিত ‘নবম এশিয়ান পিচ প্রতিযোগিতা’য় বিজয়ী হয়েছেন নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ান পিচ জিতলেন তিনি। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের অন্যতম মিডিয়া কমিউনিকেশন গ্রুপ মিডিয়াকর্প থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয় কামারকে। তাতেই বলা হয়, এ নির্মাতা তাঁর নতুন প্রামাণ্য ছবির চিত্রনাট্য ‘নীল শিরস্ত্রাণ’-এর জন্য জিতেছেন এ বছরের এশিয়ান পিচ।প্রতিবছর এশিয়ার চারটি টেলিভিশন চ্যানেল জাপানের এনএইচকে, কোরিয়ার কেবিএস, তাইওয়ানের পিটিএস ও সিঙ্গাপুরের মিডিয়াকর্প আয়োজন করে এশিয়ান পিচ প্রতিযোগিতা। এতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের মৌলিক চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কৃত করা হয়ে থাকে।এশিয়ান পিচের বিজয়ী হওয়ায় কামারের নতুন প্রামাণ্যচিত্র প্রযোজনার সব ব্যয় বহন করবে প্রতিযোগিতার আয়োজকেরা। তা ছাড়া বিজয়ী হিসেবে আয়োজক চ্যানেলগুলো তাদের প্রাইম-টাইমে দেখাবে কামারের তৈরি ছবিটি। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে ছবিটির বিপণন ও পরিবেশনার দায়িত্ব নেবে ওই চারটি চ্যানেল।আবারও এশিয়ান পিচ জয়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কামার বলেন, ‘এ রকম একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বার পুরস্কৃত হওয়াটা সত্যিই আনন্দের। যেকোনো স্বীকৃতি আনন্দ যতটা দেয়, দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় তার চেয়ে অনেক বেশি।’এর আগে ২০১৩ সালে একটি সুতার জবানবন্দির চিত্রনাট্যের জন্য একই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন কামার। গত মে মাসে ছবিটি জাপানের এনএইচকে টেলিভিশনে দেখানো হয়। এ বছরই বাকি তিনটি চ্যানেলে প্রদর্শিত হওয়ার কথা আছে।কামার আহমাদ সাইমন বলেন, এ বছরের শেষে ছবিটি দেশে দেখানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি। এ বছর এশিয়ার ১২টি দেশ থেকে মোট ১৩৫টি চিত্রনাট্য জমা পড়েছিল এশিয়ান পিচ প্রতিযোগিতায়। এর মধ্যে ১০টিকে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর সিঙ্গাপুরে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং চূড়ান্ত বিচারে চারটি চিত্রনাট্য পুরস্কার পায়। বাংলাদেশ ছাড়া বাকি পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় ও চীনা নির্মাতারা।উল্লেখ্য, কামারের প্রথম ছবি শুনতে কি পাও জাতীয় পুরস্কার, মুম্বাইয়ে স্বর্ণশঙ্খ, প্যারিসে গ্রাঁ প্রিসহ মোট ১০টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হয়েছিল।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে