রুনাকে নিয়ে বললেন তাঁরা

কুমার শানু, আদনান সামি, হরিহরণ ও শান্তনু মৈত্র।
কুমার শানু, আদনান সামি, হরিহরণ ও শান্তনু মৈত্র।

উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী রুনা লায়লাকে শুভকামনা জানালেন হরিহরণ, আদনান সামি, শান্তনু মৈত্র ও কুমার শানু। সংগীতজীবনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চ্যানেল আই নির্মাণ করেছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘চিরদিনের রুনা’। ওই অনুষ্ঠানেই রুনা লায়লাকে ঘিরে থাকা এসব শিল্পীর স্মৃতির কথা তাঁরা জানান ভিডিও ও অডিও বার্তার মাধ্যমে।
রুনা লায়লাকে নিয়ে ভিডিও বার্তায় হরিহরণ বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছি। তাঁর গায়কি অসাধারণ। মঞ্চে তাঁর পরিবেশনার কোনো তুলনা হয় না। তিনি আসলে সত্যিকারের গানের রানি। শিল্পী হিসেবে রুনা যেমন অসাধারণ, মানুষ হিসেবেও অতুলনীয়।’

রুনা লায়লা
রুনা লায়লা

ভিনদেশ থেকে অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আদনান সামি। তিনি বলেন, ‘একজন সত্যিকার কিংবদন্তির প্রতিচ্ছবি হচ্ছেন রুনা লায়লা। শুধু গায়কি দিয়ে নয়, গৌরবময় সংগীতজীবনের ৫০ বছরে নানা অর্জনে তিনি আমাদের মাঝে মহান হয়ে আছেন; যা সত্যিই আমাদের সবার জন্য উদাহরণ।’
নিজের জীবনের স্মৃতি মনে করে আদনান সামি বলেন, ‘আশির দশকে আবুধাবিতে রুনাজির একটি কনসার্টে তাঁর সঙ্গে একই মঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমাকে সেই কনসার্টে অংশ নেওয়ার অনুমতি রুনা লায়লাই দিয়েছিলেন, যা ছিল আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। এই অনুপ্রেরণা পরবর্তী সময়ে আমাকে সংগীতশিল্পী হিসেবে তৈরি হতে অনেক সাহায্য করেছে।’
একটি ভিডিও বার্তায় শান্তনু মৈত্র বলেন, ‘দীর্ঘ ৫০ বছরে রুনা লায়লা আমাদের এত বেশি আনন্দ দিয়েছেন, যা অবিশ্বাস্য। আমার এখনো মনে আছে, তিনি যখন দূরদর্শনে গান গাইতেন, আমরা উন্মুখ হয়ে বসে থাকতাম। তাঁকে জানা ও একবারের জন্য তাঁর কণ্ঠ শুনতে পারাটা ছিল অনেক বিশাল পাওয়া।’
কুমার শানু তাঁর শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, ‘রুনাদি, আমি তোমাকে আমার বড় দিদির মতো ভালোবাসি। গানের জগতে তুমি যে রকম নাম করেছ, অন্য রকম একটা ধারা তৈরি করেছ, আমার মনে হয় না সেই জায়গা অন্য কেউ নিতে পারবে।’
‘চিরদিনের রুনা’ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেছেন কোনাল। চ্যানেল আইয়ের স্টুডিওতে ধারণকৃত অনুষ্ঠানটিতে এই শুভেচ্ছাবার্তা প্রচার ছাড়াও থাকছে আড্ডার পর্ব, যেখানে রুনা লায়লার সঙ্গে আড্ডা দিয়েছেন আলম খান, শাম্মী আখতার, এস আই টুটুল, ইমন সাহা, বাপ্পা মজুমদার, এলিটা ও কবির বকুল।