দীপিকাকে রণবীরের কীসের ভয়!
অভিনেতা হিসেবে রণবীর কাপুর কতটা শক্তিশালী তা বুঝতে ‘রাজনীতি’, ‘রকস্টার’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, বরফি— এই চারটি ছবিই যথেষ্ট। এ মন্তব্য বলিউডের সমালোচকদের। অভিনয়কে ভয় না করলেও সম্প্রতি রণবীর কাপুর জানিয়েছেন, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে দীপিকা পাডুকোণকে তিনি রীতিমতো ভয় পান! অবশ্য দীপিকা সম্পর্কে রণবীরের মন্তব্য না পড়লে তাঁর এই ‘ভয়’ বিষয়টা ঠিক স্পষ্ট হবে না কারও কাছেই।
‘তামাশা’ ছবির নায়কের এটা নতুন কোনো তামাশা নয়তো? কিন্তু দীপিকা সম্পর্কে রণবীর সম্প্রতি যে মন্তব্য করেছেন তাতে তামাশার ছিটেফোঁটাও নেই।
রণবীর কাপুর জানিয়েছেন, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে দীপিকার বেড়ে ওঠার বিষয়টি অসাধারণ। তাঁর সঙ্গে যখন কাজ করি তখন আমার চমৎকার লাগে। তাঁর সঙ্গে কাজ করলে সবচেয়ে সৃজনশীলভাবে কাজ করার যে একধরনের তৃপ্তি আছে; আমি তা পাই।
রণবীর কাপুর দীপিকার সঙ্গে ‘বাঁচনা অ্যায় হাসিনো’ এবং ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি ছবিতে কাজ করেছেন।
দীপিকাকে নিয়ে এই দুই ছবির প্রসঙ্গ টেনে রণবীর বলেন, যখন আমি ‘বাঁচনা অ্যায় হাসিনো’ ছবিতে দীপিকার সঙ্গে কাজ করি; সে তখন খানিকটা অন্তর্মুখী, লাজুক ও নম্র ধরনের ছিল। কিন্তু যখন ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ছবিতে দীপিকার সঙ্গে কাজ করলাম, দেখলাম জীবন ও ছবি সম্পর্কে তাঁর বোধ, তাঁর ধারণা সবকিছুই অনেক উঁচুতে উঠে গেছে। এ এক অন্য দীপিকা। অসাধারণ।
রণবীর আরও জানান, তাঁর আদর্শ, নীতিনৈতিকতার বাইরেও সে খুব আন্তরিক আর হাসিখুশি। দীপিকা অনেক আনন্দ করতে পারে, মজা করতে পারে।
দীপিকা-রণবীরের সম্পর্কটিও বিচিত্র। প্রথমে বন্ধুত্ব এর পর প্রেম তারপর আবারও গভীর এক বন্ধুত্ব; যেন এক নদীর বয়ে চলার মতোই। এ ভ্রমণে নানা বাঁক নিয়ে শেষতক আবারও বন্ধুত্বের মোহনায় এসেই মিশেছেন তাঁরা।
এদিকে, দীপিকা জানিয়েছেন, তাঁদের এই পথ চলার বিষয়টি এক কথায় অসাধারণ। তিনি জানান, রণবীর অনেক মেধাবী একজন অভিনেতা। সে ব্যক্তি রণবীর আর তাঁর ছবির বিষয়টিই তাঁ প্রমাণ। সে একজন অসাধারণ মানুষ।
দীপিকার প্রতি রণবীরের এই ‘শঙ্কা’ বা ‘ভয়’ তাহলে কীসের? এ প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে না দিলেও দীপিকার প্রাণবন্ত উপস্থিতি যে রণবীর কাপুরকেও প্রাণবন্ত করে তোলে তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেতা। তবে কী এই ‘ভয়’ বলতে দীপিকার প্রতি নতুন করে প্রেমে পড়ার ভয়কেই বুঝিয়েছেন রণবীর? কে জানে! ইন্দো-এশিয়ান নিউজ।