ব্যাপারটি আমার জন্য অনেক বেশি সম্মানের

ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎ​সবের শেষ দিনে মঞ্চে আবিদা পারভীনের সঙ্গে বাঁশি বাজাচ্ছেন বাংলাদেশের জালাল আহমেদ
ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎ​সবের শেষ দিনে মঞ্চে আবিদা পারভীনের সঙ্গে বাঁশি বাজাচ্ছেন বাংলাদেশের জালাল আহমেদ

বর্তমান সময়ের তরুণ ও মেধাবী বাঁশিশিল্পী জালাল আহমেদ। মাত্র সাত বছর বয়সে হাতে তুলে নেন বাঁশি। গত শনিবার ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবে বাংলাদেশের মেধাবী এই বাঁশিশিল্পী বাজিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত গজলশিল্পী আবিদা পারভীনের সঙ্গে। সেই অভিজ্ঞতাসহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে কথা হয় জালাল আহমেদের সঙ্গে।

জালাল আহমেদ
জালাল আহমেদ

অভিনন্দন, জালাল ভাই...
ধন্যবাদ।
আবিদা পারভীনের মতো একজন কিংবদন্তির সঙ্গে বাজানোর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
তাঁর (আবিদা পারভীন) পাশে যখন একই মঞ্চে বসে আছি, মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গায় বসে আছি। আমার কিছুই বলার নাই। বাকরুদ্ধ বলতে পারেন। বাজানো শেষে তিনি আমার দিকে তাকালেন, একটা চমৎকার হাসি দিলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন! এ দৃশ্য জীবনেও ভুলব না।
যোগাযোগটা হয়েছিল কীভাবে?
পুরো ব্যাপারটি একদম কথায় কথায় হয়েছিল। শুক্রবার অর্ণবের সঙ্গে শো করলাম। শো শেষে আমার সঙ্গে অনুষ্ঠান আয়োজকদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। বলা হয়, কাল (শনিবার) বাঁশিটা নিয়ে আসবেন, আপনাকে বাজাতে হবে। এর বেশি আর কিছুই জানতাম না, কার সঙ্গে বাজাব।
কখন জানলেন?
অনুষ্ঠান শুরুর আগে আমি পৌঁছে যাই। তখনই জানলাম, আবিদা পারভীনের সঙ্গে বাজাতে হবে! আমি সঙ্গে সঙ্গে চুপ হয়ে গেলাম। মনে হলো, এ কী শুনছি আমি! সত্যিই তো! বিশ্বাসই হচ্ছিল না। তারপর আবিদা আপার সামনে গেলাম। সালাম করলাম। তিনি আমাকে শুধু একটা কথাই বললেন, ‘দিলসে বাজিও।’ আমার চোখে পানি চলে আসে। এক জীবনে অনেকের সঙ্গে বাজিয়েছি। কিন্তু গতকালের (শনিবার) ব্যাপারটি আমার জন্য অনেক বেশি সম্মানের, অনেক গৌরবের, অনেক অহংকারের। এত বড় একজন সাধকের সঙ্গে বাজানো আমার মতো ক্ষুদ্র বাঁশিশিল্পীর অনেক বড় অর্জন।
আপনার বাঁশি শুনে অনেকেই মুগ্ধ হন, আপনি নিজে কার বাঁশিতে মুগ্ধ হন?
যাঁর বাঁশি আমাকে মুগ্ধ করে, তিনি পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাশিয়া। আর্মি স্টেডিয়ামের শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসবে তাঁর বাঁশি শুনেছি। বারবারই মুগ্ধ হয়েছি। গতবার তো তিনি যখন মঞ্চে এলেন, তখন আমি গ্যালারিতে বসা। জোরে চিৎকার করেছিলাম।