'ব্ল্যাক' মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মিম

‘ব্ল্যাক’ ছবির দৃশ্যে মিম ও সোহম
‘ব্ল্যাক’ ছবির দৃশ্যে মিম ও সোহম

দিনকয়েক বেশ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই ছিলেন মডেল-অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। তাঁর এই উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার কারণ যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘ব্ল্যাক’। ২৭ নভেম্বর কলকাতায় এ ছবির মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলেও ঢাকায় এ ছবির মুক্তি নিয়ে দেখা দিয়েছিল জটিলতা। এই জটিলতায় ‘ব্ল্যাক’ মুক্তির ব্যাপারটি​ও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। একসঙ্গে ঢাকা ও কলকাতায় মুক্তি না পেলেও অবশেষে সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে সেই জটিলতার অবসান ঘটেছে।

কলকাতার পর ঢাকায় আগামী ৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে মিম অভিনীত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘ব্ল্যাক’। ঢাকায় ‘ব্ল্যাক’ ছবির সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়া ও মুক্তির তারিখ নিশ্চিত হওয়ার খবর শুনে মিমের খুশি আর ধরে না। গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে মিম বলেন, ‘এবারই প্রথম যৌথ প্রযোজনার কোনো ছবিতে অভিনয় করলাম। বাংলাদেশের অভিনয়শিল্পী হিসেবে অবশ্যই চেয়েছি একই দিনে যেন আমার দেশের দর্শকেরাও যেন ছবিটি দেখতে পান। কিন্তু হঠাৎ যখন শুনতে পেলাম, সেন্সর বোর্ড ছবিটির ছাড়পত্র নিয়ে আপত্তি তুলেছে, তখন মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ার মতোই অবস্থা হয়েছিল। সেসময় এতটাই কষ্ট পেয়েছি, বলে বোঝানো সম্ভব না।’

‘ব্ল্যাক’ ছবির দৃশ্যে মিম ও সোহম
‘ব্ল্যাক’ ছবির দৃশ্যে মিম ও সোহম

মিম বলেন, ‘শুক্রবার যখন ছবিটির সেন্সর ছাড়পত্র ও মুক্তির খবর জানতে পারলাম তখন আমাকে আর পায় কে। কী যে খুশি হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’

মিম এও বলেন, বাংলাদেশে পরে মুক্তি পেলেও দর্শকেরা পছন্দ করবেন বলেই আশা করছি। তবে দুই দেশে একসঙ্গে মুক্তি পেলে আমি ও সোহম মিলে হলে গিয়ে ছবির প্রচারণায় অংশ নিতে পারতাম। কিন্তু এখন জানি না সোহম বাংলাদেশে আসতে পারবেন কিনা।’ তিনি বলেন, ‘আমার প্রেক্ষাগৃহে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। ছবিটি নিয়ে আমি অনেক বেশি আশাবাদী।’

‘ব্ল্যাক’ ছবির পরিচালক কলকাতার রাজা চন্দ। মিম ও সোহম ছাড়া ছবির অন্য অভিনয়শিল্পীরা হলেন আশীষ বিদ্যার্থী, রজতাভ দত্ত প্রমুখ।

এদিকে, মডেল-অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম অভিনীত আরও দুটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ছবি দুটি হচ্ছে— তানিয়া আহমেদ পরিচালিত ‘গুডমর্নিং লন্ডন’ আর ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘সুইটহার্ট’।