সুখ নিয়ে 'সুখী' জুলিয়ার সুপরামর্শ

জুলিয়া রবার্টস
জুলিয়া রবার্টস

বিবাহিত জীবনের সুখ সংক্রান্ত বিষয়ে সম্ভবত সুপরামর্শই দিতে পারবেন হলিউডের অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস। স্বামী, সন্তান নিয়ে জুলিয়ার সুখের সংসার। সম্প্রতি ‘প্রিটি ওমেন’খ্যাত এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি এখনো তাঁর বিবাহিত জীবনের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে— জুলিয়া সম্প্রতি জানিয়েছেন, বিবাহিত জীবনে সুখী হওয়ার মূলমন্ত্রটি জেনে গেছেন তিনি। এমন মানুষই তো পারবেন সুখ নিয়ে সংকটে থাকা দম্পতিদের সুপরামর্শ দিতে।

এর আগে ‘প্রিটি ওমেন’ খ্যাত অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস একবার বলেছিলেন, তিনি আসলেই সুখী মানুষ। আর তাঁর সুখী হওয়ার পেছনে আছেন তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল মডার। জুলিয়া বলেছিলেন, তাঁদের দাম্পত্যজীবনে সুখী হওয়ার পেছনে তাঁর স্বামী ড্যানিয়েলের অবদান সবচেয়ে বেশি।

জুলিয়া রবার্টস ও ড্যানিয়েল মডের বিয়ে করেছিলেন ২০০২ সালে। ড্যানি-জুলিয়া দম্পতির তিন সন্তান। যমজ দুই সন্তান ফিন ও হ্যাজেল (১০ বছর) এবং আট বছর বয়সী হেনরি। দীর্ঘ এক সুখী দাম্পত্যজীবন তাঁদের।

বিবাহিত জীবনে সুখী হওয়া প্রসঙ্গে জুলিয়া রবার্টস জানিয়েছেন, বিবাহিত জীবনে সুখী হতে হলে প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধতা। তিনি জানান, তাঁর মনে হয়েছে, বিবাহিত জীবনের সুখের বিষয়টি নির্ভর করে সঙ্গী দুজনের পরস্পরের দায়বদ্ধতার ওপর। জীবনে মূল্যবোধের ক্ষেত্রে একই ধরনের বোধের বিষয়টিও এ ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

জুলিয়া রবার্টস এও জানিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে সুসম্পর্ক ধরে রাখার ক্ষেত্রে একজনের সঙ্গে সংসার করার বিষয়টাই সবচেয়ে ভালো। জুলিয়া তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উদাহরণ টেনে জানান, তিনি তাঁর দীর্ঘ দাম্পত্যে দেখেছেন, পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ এবং আগ্রহ থাকাটা এ ক্ষেত্রে চমৎকার কাজ করে।


মার্কিন অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টসের জন্ম ২৮ অক্টোবর, ১৯৬৭ সালে। ১৯৯০ সালের দিকে চলচ্চিত্র ‘প্রিটি ওমেন’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। ‘স্টিল ম্যাগনোলিয়াস’ ও ‘প্রিটি ওমেন’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি অস্কার মনোনয়ন পান। ‘এরিন ব্রোকোভিচ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জুলিয়া রবার্টস ২০০১ সালে সেরা অভিনেত্রীর অস্কার পান। তাঁর অভিনীত ‘মাই বেস্ট ফ্রেন্ডস ওয়েডিং’, ‘রানওয়ে ব্রাইড’, ‘ওশানস ইলেভেন’, ‘নটিং হিল’, ‘দ্য পেলিক্যান ব্রিফ’ ছবির কল্যাণে তিনি নিজেকে হলিউডের একজন অন্যতম সফল অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তিনি ছিলেন হলিউডের সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী। ‘মোনালিসা স্মাইল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য জুলিয়া পেয়েছিলেন ২৫ মিলিয়ন ডলার। ২০০৭ সাল নাগাদ তাঁর মোট আয়ের পরিমাণ ছিল ১৪০ মিলিয়ন ডলার।

অসাধারণ মিষ্টি হাসির জন্য বিখ্যাত এই হলিউডের অভিনেত্রীকে পিপল ম্যাগাজিন এ পর্যন্ত ১১ বার বিশ্বের সেরা ৫০ সুন্দরীর অন্যতম হিসেবে অভিহিত করেছে। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ। এনডিটিভি। বিবিসি।