বইমেলায় থাকবে 'বাড়তি নিরাপত্তা', পরিসরও বাড়ছে

বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার হলে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর
বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার হলে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর

দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে অমর একুশে বইমেলা-২০১৬-এর পরিসর বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আজ সোমবার বিকেলে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার হলে এক সংবাদ সম্মেলনে বইমেলা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে একাডেমির এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অতীতের সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার পরিকল্পনা করছি আমরা।

মন্ত্রী জানান, ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বইপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। এ ছাড়া ছুটির দিনগুলোতে মেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মেলার পরিসর বাড়ানোর কথা জানিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চকেও এবার মেলা প্রাঙ্গণের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। একই সঙ্গে মেলার পরিসর উদ্যানের ভেতরে বাংলা একাডেমি-সংলগ্ন রাস্তার কাছাকাছি নিয়ে আসা হবে।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেই টিএসসি এলাকায় খুন হন লেখক অভিজিৎ রায়। ওই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী নূর বলেন, ‘বিঘ্ন ঘটানো কঠিন কিছু নয়। একজন বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ১০ জন সাধারণ মানুষের ক্ষতি করতে পারে। সেদিক বিবেচনায় আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা নিচ্ছি। পুরো মেলা ও এর আশপাশের এলাকা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার আওতায় থাকবে। পাশাপাশি লাইটিংও থাকবে বেশি এলাকাজুড়ে।’
এ ছাড়া আর্চওয়েতে নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি বাধা পেরিয়েই মেলায় প্রবেশ করতে হবে বলে মন্ত্রী জানান। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বই আনা-নেওয়া সহজ করার জন্য আলাদা ফটকের ব্যবস্থা থাকবে। মেলার প্রবেশপথ টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর সড়কে ও ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকান বন্ধে কঠোর হওয়ার কথাও বলেছেন মন্ত্রী।
গত বইমেলা চলাকালে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার’ অভিযোগ এনে রোদেলা প্রকাশনীর স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, বইমেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। সেই নীতিমালার পরিপন্থী কোনো প্রকাশনীকে মেলায় আসতে দেওয়া হবে না; এবং প্রকাশকদের সঙ্গে বৈঠকে সেটা আমরা জানিয়ে দেব।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংস্কৃতিসচিব আক্তারী মমতাজ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ‍যুগ্ম সচিব মনজুরুর রহমান, বাংলা একাডেমির সচিব আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অন্য আরেকটি সভায় র‍্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা বাহিনীর প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।