তৃতীয় তলায় রবীন্দ্রনাথ

ছায়ানটের রমেশচন্দ্র দত্ত স্মৃতি মিলন কেন্দ্রে ছিল রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আয়োজন। প্রেম ও বসন্ত নিয়ে কবিগুরুর কিছু গান ও কবিতার যুগলবন্দী। সেখানেও আসন পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই। দাঁড়িয়েও গান শুনেছেন বেশ কজন দর্শক-শ্রোতা। এতে ‘বসন্ত তার গান লিখে যায়’, ‘এসো আমার ঘরে’, ‘এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে’সহ বেশ কিছু গান গেয়ে শোনান শিল্পী মীরা মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ‘বসন্ত’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘পাগল বসন্ত দিন’সহ আরও বেশ কিছু কবিতা আবৃত্তি করেন নিমাই মণ্ডল। কখনো শুধুই গান কিংবা শুধুই আবৃত্তি। আবার কখনো যন্ত্র বাজছিল অবিরত, মীরার কণ্ঠে গানের স্তবকের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা পড়ছিলেন নিমাই। এভাবে দর্শকদের মন মজিয়ে রেখেছিলেন এই দুই শিল্পী। মীরা গান নিয়ে প্রশংসা করে প্রধান অতিথি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘মীরা ভালো গান করে। তার গানের সঙ্গে আমি আগে থেকেই পরিচিত।’
যুগলবন্দী শুরুর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন পণ্ডিত রামকানাই দাশের ছেলে সংগীত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পিনুসেন দাশ। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে সিলেটের সংগীত পরিষদ। পণ্ডিত রামকানাই দাশের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের ঢাকায় এটি দ্বিতীয় আয়োজন।
একটা সংগীতময় সন্ধ্যা কর্মব্যস্ত নগরবাসীর জন্য পরম আনন্দের। গতকাল ছায়ানটে সময় কাটানোর সৌভাগ্য যাঁদের হয়েছে, ব্যাপারটা তাঁরা ভালো বুঝে থাকবেন।