ভরসা যখন আমদানি করা নায়কে!

কাপুর অ্যান্ড সানস ছবিতে ফাওয়াদ, আলিয়া ভাট ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা
কাপুর অ্যান্ড সানস ছবিতে ফাওয়াদ, আলিয়া ভাট ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা

আলিয়া ভাটের পরপর দুটো ছবি খারাপভাবে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সবশেষ মুক্তি পাওয়া ছবি ব্রাদার্সও বক্স অফিসে ব্যর্থ। আবার পরিচালক শাকুন বাত্রার একমাত্র ছবি এক ম্যায় ঔর এক তু­ও ছিল ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে ফ্লপ ছবির একটি। এসবের মধ্যে এক ফাওয়াদ খানই এখন পর্যন্ত ব্যর্থতার স্বাদ পাননি। খুবসুরত ছবিতে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছেন পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া এ তরুণ প্রতিভা। তাই নতুন ছবি কাপুর অ্যান্ড সানস-এর সাফল্যের অনেকটাই নির্ভর করছে এই সুদর্শনের ওপর।
বলিউডে এখন একটা রীতি খুব প্রচলিত। কোনো ছবি মুক্তির আগে একে আলোচিত করতে কাজ করে অনেক ‘পিআর ফার্ম’ (পাবলিক রিলেশন ফার্ম)। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো একটি ছবিকে ঘিরে নানা ধরনের খবর তৈরি করে, এরপর তা ছড়িয়ে দেয় ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। যে ছবির খবর যত বেশি আলোচিত ও আলোড়িত হয়, সে ছবির সাফল্যের সম্ভাবনা তত বেড়ে যায়। অনেক সময় ‘পিআর’-এ গড়বড় হলে সাফল্যের বদলে ব্যর্থতার মুখও দেখতে হয়। কিন্তু খবর ভালো হোক কিংবা মন্দ, বলিউডে মুক্তি প্রতীক্ষিত প্রতিটি ছবিই এ কায়দায় থাকতে চায় আলোচনায়।
সেই রীতি মেনেই কাপুর অ্যান্ড সানসও নানাভাবে আলোচনায় থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো খবর দিয়েই যেন প্রত্যাশিত সাড়া পাচ্ছেন না প্রযোজক করণ জোহর। প্রথমেই আলোচনা তৈরির চেষ্টা করলেন এ ছবির গান ‘চুল’ দিয়ে। কিন্তু ইউটিউবে যথেষ্ট দর্শক পাওয়ার পরও সেই সাড়া ধরে রাখতে পারেনি ছবিটি। এরপর সিদ্ধার্থ মালহোত্রা আর আলিয়া ভাটের প্রেমকে কাজে লাগানোর চেষ্টা শুরু হলো। ভোগ ম্যাগাজিনের ভারতীয় সংস্করণের জন্য করা হলো রগরগে ফটোশুট। এই এক ফটোশুটের জন্য মালদ্বীপ পর্যন্ত যেতে হয়েছে সিদ্ধার্থ আর আলিয়াকে। বেশ আলোচনা হলো ভোগের সেই প্রচ্ছদ নিয়ে। কিন্তু সেই আলোচনাও বেশি দিন স্থায়ী হলো না। পরে আলোচনাকে জিইয়ে রাখার জন্য ভারতের তৃতীয় শ্রেণির অভিনেতা কামাল আর খানকে এক বিতর্কিত মন্তব্য দেওয়ার কারণ টেনে আনা হলো। তা-ও খুব একটা সুফল বয়ে আনতে পারেনি।
১৮ মার্চ মুক্তি পাবে সিদ্ধার্থ-আলিয়া অভিনীত নতুন ছবি, কিন্তু এতে আলোচনা করার মতো কোনো বিষয় নেই। ছবিতে আলিয়াকে প্রাণবন্ত এক আধুনিক মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে যেমনটা তাঁকে দেখা গিয়েছিল স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার, হাইওয়ে, টু স্টেটস, হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া ও সবশেষ শানদার ছবিতে। অন্যদিকে সিদ্ধার্থের চরিত্রটিও নেহাত ‘চকলেট বয়’-এর বাইরে আর কিছুই নয়। তবে অনেকের চোখই গিয়ে ঠেকেছে ফাওয়াদ খানের দিকে। কারণ খুবসুরত ছবিতে রাজকুমারের চরিত্রে অভিনয় করা ফাওয়াদ এবারই প্রথম এক সাধারণ ছেলের বেশে আসবেন বড় পর্দার সামনে। আর ফাওয়াদ নাকি এ ছবির জন্য আমির খান অভিনীত রাজকুমার হিরানীর আলোচিত ছবি পিকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। হাতছাড়া করেছিলেন আনুশকা শর্মার সঙ্গে প্রেম করার সুযোগ। তিনি বেছে নিয়েছেন আলিয়াকে। তাই তো কাপুর অ্যান্ড সানস ছবির দিকে এই একটা কারণেই নজর অনেকের। প্রশ্ন একটাই, পিকের মতো ছবি কি তাহলে কাপুর অ্যান্ড সানস-এর কাছে ফিকে!
আইএএনএস, টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং ফিল্মফেয়ার অবলম্বনে