৩০ খণ্ডে বর্ধিত রবীন্দ্র-রচনাবলি

রবীন্দ্র-রচনাবলি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন পবিত্র সরকার। মঞ্চে অন্য অতিথিরা l প্রথম আলো
রবীন্দ্র-রচনাবলি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন পবিত্র সরকার। মঞ্চে অন্য অতিথিরা l প্রথম আলো

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকতেই দেখে গেছেন তাঁর রচনাবলির প্রথম খণ্ড। সেটা ১৯৩৯ সালের কথা। বের করেছিল কলকাতার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর কলকাতা ও বাংলাদেশ থেকে নানা আঙ্গিকে প্রকাশিত হয়েছে রবীন্দ্ররচনাবলি। বিশ্বকবির বিপুল পরিমাণ রচনা বাঙালির কাছে পৌঁছে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব সেকালে অনেকেই পালন করেছেন। আজও কাজটি করে যাচ্ছেন প্রকাশকেরা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন করা হলো ত্রিশ খণ্ডের রবীন্দ্র-রচনাবলি। সাড়ে ২২ হাজার পৃষ্ঠার রবীন্দ্র-রচনাবলি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। রবীন্দ্রনাথের রচনার প্রকাশক্রম অনুসারে সাজানো রচনাবলিটি সম্পাদনা করেছেন রবীন্দ্র-গবেষক সৈয়দ আকরম হোসেন।
ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উত্সবে অতিথি ছিলেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য পবিত্র সরকার, বর্তমান উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি আজিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন ঐতিহ্যর প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন রচনাবলির সম্পাদনা সহযোগী আবুল বাসার ফিরোজ ও অস্ট্রিক আর্যু।
আনিসুজ্জামান বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের রচনার বিপুল সম্ভার এতই বিস্তৃত যে তা একসঙ্গে প্রকাশ করা কঠিন। এ রচনাবলিতে এমন সব লেখা আছে যা বিশ্বভারতীর রচনাবলিতে নেই। ভবিষ্যতে এ রচনাবলিতে রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি রচনা যুক্ত করা হলে আমরা স্বাগত জানাব।’
পবিত্র সরকার বলেন, ‘সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রেমের মধ্যে বাঁচতে বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। সঙ্গে যুক্ত করতে বলেছেন প্রাণিজগৎ, নিসর্গ, প্রকৃতিকে। শুধু তা-ই নয়, শিল্পের জগৎ, কল্পনার জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের বিস্তার ঘটাতে বলেছেন। তিনি বলেছেন, তুমি নিছক বাঙালি নও, তুমি বিশ্বচরাচরের অংশ। এই বাঁচার অর্থ আগে বুঝিনি। ধীরে ধীরে বুঝবার চেষ্টা করেছি। এভাবে রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনের অংশ হয়ে আছেন।’
আগ্রহী ব্যক্তিরা স্বল্প সময়ের জন্য বিশেষ ছাড়ে সংগ্রহ করতে পারবেন এই ত্রিশ খণ্ডের রবীন্দ্র-রচনাবলি। ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিনা সুদে তিন থেকে ছয় মাসের কিস্তিতেও কেনা যাবে।