'মাধো' এবার চলচ্চিত্র

স্বল্পদৈর্ঘ্য শিশু চলচ্চিত্র ‘মাধো’র দৃশ্য
স্বল্পদৈর্ঘ্য শিশু চলচ্চিত্র ‘মাধো’র দৃশ্য

রবীন্দ্রনাথের ‘মাধো’ কবিতা অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য শিশু চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন সুমনা সিদ্দিকী। ছবির নাম ‘মাধো’। পরিচালকের ভাষায়, ‘মাধো একটি নস্টালজিক চরিত্র। আমাদের সবার শৈশবের সঙ্গে মিশে আছে মাধোর শৈশব। আমরা সেই শৈশবের কথা ভেবে পুলকিত হই, শিহরিত হই। আমাদের মনে সেই শৈশবে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জাগে।’


গত বছর সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘শিশু চলচ্চিত্র নির্মাণ অনুদান’ পেয়েছেন সুমনা সিদ্দিকী। এরপর এপ্রিল ও আগস্ট মাসে ছবিটির শুটিং করেছেন মুন্সিগঞ্জে। ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অলোক বসু। চিত্রগ্রহণ করেছেন আজিমুল হক। সংগীত পরিচালনা করেছেন ফোয়াদ নাসের বাবু। ‘মাধো’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইয়ান। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে কাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছড়ার ছবি’ গ্রন্থে রয়েছে ‘মাধো’ কবিতাটি। চলচ্চিত্রে পরিণত বয়সের মাধোর দৃষ্টিকোণ থেকে কাহিনির শুরু। পরিণত মাধোর উপলব্ধিতে ধরা দেয় শৈশবের মাধো। বর্তমানের মাধো পাটকলে কাজ করে। শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে পাটকল বন্ধ। অবসর কাটে না, তাই মাধো নদীর ঘাটে বসে থাকে। নদী পার হয়ে একটা কুকুর তার ঘাটের দিকে আসতে দেখে মাধোর ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। তার একটা কুকুর ছিল। নাম ‘বটু’। বটুকে নিয়েই কাটত তার শৈশবের সারাবেলা। এই কুকুরকে দেখে একে একে তার শৈশবের সব কথা মনে পড়ে যায়, নস্টালজিয়ায় ভুগতে থাকে সে। তার মনে পড়ে মা-বাবার কথা, ভিটে-মাটির কথা। স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা মাধো নিজ ভিটার উদ্দেশে রওনা হয়।

সুমনা সিদ্দিকী বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রে একদিকে যেমন শিশুর স্বভাবসুলভ আর মুক্ত-স্বাধীন জীবনের কথা বলা হয়েছে, তেমনি শিশুর প্রতি অসংগত আচরণ ও অত্যাচারের কুফলের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশ-ভিটে-মাটির প্রতি মানুষের আজন্ম ভালোবাসার কথা তুলে ধরেছি।’