বিজয় দিবসে ছোটপর্দায় 'গেরিলা'

গেরিলা ছবির একটি দৃশ্য
গেরিলা ছবির একটি দৃশ্য

২০১১ সালের বাংলা নববর্ষে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র গেরিলা। বড়পর্দায় মুক্তির আড়াই বছর পর এবার ছোটপর্দায়ও প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা ছবিটি। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে চ্যানেল আইয়ে দেখানো হবে ছবিটি।
গেরিলার নির্বাহী পরিচালক এশা ইউসুফ প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন, যাঁরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখতে পারেননি তাঁদের কথা চিন্তা করেই গেরিলা ছোটপর্দায় প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছবিটির টিভিস্বত্ব চ্যানেল আইয়ের, তাই এটি ওই চ্যানেলে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে।
এশা আরও বলেন, যেহেতু গেরিলা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, তাই বিজয় দিবসে ছবিটি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গেরিলা ছবির শুরু ১৯৭১ সালের একটি বিশেষ দিনের ঘটনার মাধ্যমে। শহরে তখন ধ্বংসযজ্ঞ। এমনই এক অবস্থায় সাংবাদিক হাসান কাজের তাগিদে বের হতে চাইছেন আর তাঁর স্ত্রী বিলকিস বাধা দিয়ে বলছেন, ‘এমন অবস্থার মধ্যে না গেলেই কি হয় না?’ কিন্তু সাংবাদিকতা পেশার দায়িত্ববোধ আর রোমাঞ্চে ঘরের বাইরে গেলেন হাসান। এরপর তাঁকে খোঁজার জন্য এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতে লড়াইয়ে নামেন বিলকিস। ছবিতে অবশ্য বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের পুরো নয় মাসের কাহিনি দেখানো হয়নি। শুধু জুলাই ও আগস্ট মাসের কাহিনি আছে এ ছবিতে। ছবির মূল আকর্ষণ হলো জুলাই মাসের চার-পাঁচ দিনের ঘটনা।
প্রসঙ্গত, বিলকিসকে নিয়েই সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক লিখেছিলেন তাঁর ‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাসটি। সেই উপন্যাসের সঙ্গে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্ম-অভিজ্ঞতার মিশেলে নির্মিত হয়েছে গেরিলা।
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও আরিয়াল ক্রিয়েটিভ সেন্টার যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করেছে। ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, ফেরদৌস, এ টি এম শামসুজ্জামান, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, শম্পা রেজা, আহমেদ রুবেল প্রমুখ।
নাসির উদ্দীন ইউসুফের পরিচালনায় গেরিলা ছবিটি ১৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে নেটপ্যাক পুরস্কার অর্জন করে। বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও গেরিলা অর্জন করে নেয় বেশ কয়েকটি পুরস্কার।