বাসার কাজে আমি অপটু: পুতুল

পুতুল
পুতুল

দোষ-গুণ মিলিয়েই মানুষ। তারকারাও এর বাইরে নন। তারকাদের ভালো দিকগুলো কী? তাঁদের কি কোনো খারাপ দিক আছে? পাঠক, এবার তারকার নিজের মুখেই শুনুন তাঁর দোষ-গুণের খবর...
আমার যত দোষ
 কথায় বলে, আগে তিতা, পরে মিঠা ভালো। তাই, খারাপটা দিয়েই শুরু করা যাক, কী বলেন? শুরুতেই বলতে চাই এক বুমেরাংয়ের কথা, যার নাম ধৈর্য! ধৈর্য ধরা এক হিসেবে অনেক বড় একটা গুণ, কিন্তু এটাকে আমি আমার দোষ হিসেবেও নিতে পারি। কারণ, অনেকেই এর সুযোগ নেয় এবং সুযোগের অপব্যবহার করে।

 দেখা যায়, কোনো ঘটনায় ভালো কিছু না ভেবে, আগে খারাপটা ভেবে বসে থাকি। যেমন ধরুন, কাউকে প্রথমবার ফোন দিয়ে পাওয়া গেল না। অমনি মনের মধ্যে দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গেল—ওর কোনো বিপদ হলো না তো? কোনো সমস্যায় পড়ল না তো, এই ধরনের। এটা আমার মায়ের থেকে পাওয়া এবং আমি মনে করি এই ব্যাপারটা বাদ দিতে পারলে ভালো হতো।

 আরেকটা দোষ হলো—বাইরে প্রচুর কাজ করলেও বাসায় আমি একটু অলস। বাসার কাজে বেশ অপটু আমি বা করতে চাই না, এমন একটা ব্যাপার থাকে। দেখা যায়, অনেক সময় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বাসার কাজে মাকে সাহায্য করা হয়ে ওঠে না। তখন মনের মাঝে একটা অপরাধবোধ কাজ করে ।

আমার যত গুণ
 আগেই বলেছি, অনেক ধৈর্য আমার। সেটা দেখা যায় কাজের ক্ষেত্রে, বাসায়, যেকোনো বিপদে, যেকোনো অসুস্থতায়—সব সময়। এটা যে আমার বড় গুণ, এ কথা আমার বাসার সবাই বলেও ।
 সময়ানুবর্তিতা—গুণটা আমার মধ্যে প্রকট। সব সময় সময় মেনে চলার চেষ্টা করি। যে সময়টা (শিডিউল) আমাকে দেওয়া হয়েছে, সেটা পার হয়ে যেতে লাগলেই, আমি ভেতরে ভেতরে দুশ্চিন্তায় ছটফট করতে থাকি—যেন আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। যেন শিডিউল মিস হবে...
 আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, আমি একদমই অন্যের সমালোচনা করতে পছন্দ করি না। পরচর্চা, পরনিন্দা এগুলোর মধ্যে থাকি না। একটার সঙ্গে আরেকটা বিষয় সম্পৃক্ত, আমি খুব স্বল্পভাষী। যার কারণে আমার কাছ থেকে কেউ কারও কোনো মুখরোচক গল্প বা খারাপ দিক বের করতে পারে না সহজে। সেটা যে আমি ইচ্ছা করে করি না, তা নয়। বরং আমি বলব, সেটা আমার স্বভাবে নেই।
 গ্রন্থনা: দেব দুলাল গুহ