'তরুণদের ভালোবাসা বিস্ময়কর'

পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা
পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা

পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা। প্রখ্যাত এই সন্তুরশিল্পী এসেছিলেন ঢাকায়। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে তাঁর পরিবেশনা মুগ্ধ করেছে দর্শক-শ্রোতাদের। ওই সময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সেই কথোপকথন দেওয়া হলো এখানে।
বাংলাদেশের আলো-হাওয়া...
বাংলাদেশ হলো গানের দেশ। উচ্চাঙ্গসংগীতের কথা যদি বলি, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান, আলী আকবর খান—তাঁরা তো সবাই এই দেশেরই মানুষ। যন্ত্রসংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন তাঁরা। উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে তাঁদের অবদান অনেক। আরেকটি কথা, আমার মনে হয়, বাংলাদেশের আলো-হাওয়ায় গান আছে, সুর আছে। ফলে গানবাজনার প্রতি এখানকার মানুষের উৎসাহও প্রবল।
সন্তুর এবং সন্ধান...
সন্তুর আমার কাছে উপাসনার মতো। এই বাদ্যযন্ত্রটি যখন আমার হাতে থাকে, তখন কি আমি পৃথিবীতে থাকি? কে যেন মরমি কণ্ঠে ডেকে যান আমাকে। সন্তুরের মাধ্যমে আমি তাঁর সন্ধান করি। এই যন্ত্রে একটি নতুন সুর যখন সৃষ্টি হয়, আমি তাঁকে দেখতে পাই যেন!
উচ্চাঙ্গসংগীতে নতুন বাতাস...

এখন সারা বিশ্বেই নতুন করে শুরু হয়েছে উচ্চাঙ্গসংগীতের জনপ্রিয়তা। এ ধারার সংগীত কোনো আবদ্ধ বিষয় নয়, এটা সবাই বুঝতে শুরু করেছেন। এই সংগীতের মূল বিষয় ঠিক রেখে যুগোপযোগী নতুন নতুন সুর সৃষ্টি করছেন অনেকে। এটা কিন্তু খুব সুখের বিষয়। আমি মনে করি, যেকোনো ধরনের সংগীত তার ঐতিহ্যকে সঙ্গী করে বর্তমানের মধ্যেই বেঁচে থাকে।
আমার আশা ও বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব...
গত বছর প্রথমবার যখন বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব হয়, আমি এসেছিলাম সেই উৎসবে। আমি তো রীতিমতো অভিভূত হয়েছি সে সময়। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রতি মানুষ—বিশেষত তরুণেরা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, এককথায় সেটি বিস্ময়কর! আমি মুগ্ধ—এখানকার শ্রোতাদের সমঝদারিত্বও আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও এসেছি।
বাংলাদেশের যা কিছু ভালো...
বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতা আর আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। মানুষগুলো এত সরল-সাধারণ ও সংগীতপ্রেমী! এ ছাড়া এখানকার সবার মধ্যে বিনয় আছে—এই বিষয়টিও ভালো লেগেছে।
 সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: আলতাফ শাহনেওয়াজ
ছবি তুলেছেন: খালেদ সরকার