ঝগড়ার কারণে এনজি : মাহিয়া মাহি

‘এনজি শট’ মানে ‘নট গুড শট’। অভিনয়শিল্পীরা শুটিংয়ের সময় প্রায়ই এ ঘটনার মুখোমুখি হন। সেই অভিজ্ঞতা কখনো বিরক্তির, কখনো মজার আবার কখনো-বা মধুর। এই বিভাগে আজ জেনে নিন মাহিয়া মাহির এনজি শটের মজার স্মৃতি।
মাহিয়া মাহি
মাহিয়া মাহি

ঘটনাটি ঘটেছিল মনতাজুর রহমান আকবরের তবুও ভালোবাসি ছবির শুটিংয়ে, হোতাপাড়ার লোকেশনে। সেদিন সকাল থেকেই বাপ্পীর সঙ্গে আমার ঝগড়া। রাতের বেলায় আমার আর বাপ্পীর একটি রোমান্টিক দৃশ্যে নেওয়া হবে। দৃশ্যটি এমন: আমরা দুজন দুজনের গালে হাত রেখে সংলাপ দেব। দৃশ্যটি অনেকক্ষণ ধরে চলবে।
সবকিছু ঠিকঠাক। দৃশ্যটি নেওয়া শুরু হয়েছে। কিছুদূর যাওয়ার পর ক্যামেরা থামিয়ে দিয়ে পরিচালক বললেন, ‘তোমরা দুজন ঝগড়া করেছ। দৃশ্যে তার প্রভাব পড়ছে। ভালো মানাচ্ছে না। প্রথম থেকে আবার আসো।’ এভাবে প্রথমেই দৃশ্যটি এনজি হয়ে গেল। এরপর দ্বিতীয়বার করতে গিয়ে একই কথা পরিচালকের মুখে। আমার মনে হয় এভাবে প্রায় ৩০-৩৫ বার নেওয়া হলেও দৃশ্যটি ‘ওকে’ হলো না। রাত তখন প্রায় তিনটা। শেষে পরিচালক বললেন, ‘আজ আর শুটিং হবে না। কাল সকালে দৃশ্যটি নেওয়া হবে।’ তিনি কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন, সকালে সব ঝগড়া মিটিয়ে হাসিমুখে সেটে আসতে হবে দুজনকে।
বারবার এনজির যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে পরদিন ঠিকই হাসিমুখে সেটে হাজির হয়েছিলাম আমরা।
আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল অগ্নি ছবির সেটে। ছবিতে পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী নিজেই খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এফডিসিতে সেট ফেলা হয়েছিল। দৃশ্যটি ছিল এমন: আমি খলনায়কের আস্তানায় হানা দিই। তুমুল মারপিট হয়। একটা সময় আমাকে আটক করে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হবে। এরপর ইফতেখার চৌধুরী এসে আমাকে হুমকি দিয়ে কথা বলবেন।
দৃশ্যটি নেওয়া শুরু হয়েছে। ইফতেখার চৌধুরী আমাকে বলছেন, ‘আমারে তুই মারবি আর চাইয়া চাইয়া আমি তা দেখুম?’ সংলাপ শেষ না হতেই আমার হাসি চলে আসে। এনজি হয়ে যায় দৃশ্যটি। এভাবে বেশ কয়েকবার এনজি হয়েছিল।