মাইলস ও ফসিলস বিতর্ক নিয়ে যা বললেন পরমব্রত

মাইলস-পরমব্রত-ফসিলস
মাইলস-পরমব্রত-ফসিলস

ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৩ আগস্ট কলকাতায় নজরুল মঞ্চে আজাদি কনসার্ট ঘিরে বাংলাদেশের মাইলস ও কলকাতার ফসিলস ব্যান্ডের বিতর্ক নিয়ে কথা বললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পরমব্রত তাঁর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

‘প্রসঙ্গ : ফসিলস আর মাইলস’ শিরোনামের এ স্ট্যাটাসের শুরুতে পরমব্রত লিখেছেন, ‘আমাদের ভারতীয়দের মধ্যে কিছু লোক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করে, তাঁদের অকারণে ছোট করে ভাবেন বিরাট দেশপ্রেমিক হওয়া গেল। বিশেষ করে আজকালকার এই অতি দক্ষিণপন্থী বাজারে। এঁদের বিরোধিতা করে আমি অনেক কটু কথা শুনেছি, এমনকি দেশদ্রোহী তকমাতেও ভূষিত হয়েছি।’
মাইলস ও ফসিলসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে তর্ক-বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে, তা দেখে কিছু বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন বলেও জানান পরমব্রত। তাঁর মতে, বিগত কয়েক দিনে ফেসবুক এবং অন্যান্য মাধ্যমে এই একটি বিতর্ক এবং সে–সংক্রান্ত তর্ক–বিতর্ক দেখে, পড়ে, নিরপেক্ষভাবে কিছু অন্য সুরের কথা না বলে পারছেন না তিনি।
পরমব্রতর কথাগুলো হচ্ছে, ‘ঠিক যেভাবে কোনো ভারতীয়র বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করব, ঠিক তেমনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কেউ যদি আমার দেশ ভারতের নামে অকারণে খারাপ কথা বলে, তাহলে সেটারও সমালোচনা হওয়া দরকার। আমি যদি তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার ব্যক্তিগত জায়গা থেকে তাঁদের সঙ্গে এক মঞ্চে পারফর্ম করতে অস্বীকার করি, তাহলে সেটা নিয়ে অত হইচইয়ের কী আছে?’
পরমব্রত আরও বলেছেন, ‘আমি মাইলসের ভক্ত নই, ফসিলসেরও নই। ফসিলসের সঙ্গে পরিচয় বহু দিনের। তাদের কিছু গান নিশ্চয়ই ভালো লাগে। ঠিক যেমন মাইলসেরও কিছু গান ভালোবেসে শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু আমি যা বলছি তা আমার সাধারণ যুক্তি বলেই মনে হয়েছে।’
ফেসবুকে পরমব্রত দুই বাংলার প্রসঙ্গও তুলে ধরে বলেন, ‘দুই বাংলাতে যাঁরা ঘৃণা ছড়িয়েছেন বা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের আরও একবার বলি, ইতিহাস জানুন। বাঙালির বিবর্তন জানুন। অশিক্ষার পরবশ হয়ে বিদ্বেষ ছড়াবেন না। তাতে আমরা আমাদের আইডেনটিটিকে (পরিচয়টাকে) অপমান করছি। আর কিছু নয়।’