অক্সিজেন সাপোর্টে আছেন লতা মঙ্গেশকর
গত শনিবার রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু গতকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রথম আসে। এখন এই জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। তবে তাঁকে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে না।
৯২ বছর বয়সী লতা মঙ্গেশকর মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। ছয়জন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন এই খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী। চিকিৎসক প্রতিত সমধানী এই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিন-চার বছর ধরে এই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন লতা মঙ্গেশকর।
লতার ভাতিজি রচনা শাহ ভারতের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘লতা মঙ্গেশকর শরীরে এখনো করোনার হালকা উপসর্গ আছে। বয়সজনিত রোগে ওনাকে আইসিইউতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকের দল ওনার চিকিৎসা করছেন।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ তিনি (লতা মঙ্গেশকর) এখন অক্সিজেন সাপোর্টে আছেন। আগামী কিছু দিন ওনাকে হাসপাতালে রাখা হতে পারে।’ তবে জানা গেছে, লতা মঙ্গেশকরের এখন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টের প্রয়োজন নেই।
লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি কাউকে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি তাঁর পরিবারকেও অনুমতি দেওয়া হয়নি। লতার বোন ঊষা মঙ্গেশকর বলেছেন, ‘দিদির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, এটা কোভিড কেস। ওনাকে দেখভালের জন্য একাধিক চিকিৎসক আর নার্স আছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন যে বয়স বেশি হওয়ার কারণে ওনাকে হাসপাতালে এক-দুই দিন বেশি রাখা হতে পারে।’
লতা মঙ্গেশকরের করোনায় আক্রান্তের খবরে রীতিমতো উদ্বিগ্ন তাঁর অনুরাগী তথা পুরো বিনোদনজগৎ। বলিউড তারকাসহ অগুনতি ভক্ত তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন।
ভারতীয় সংগীতের এই জীবন্ত কিংবদন্তি ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সংগীত ভারত ছাপিয়ে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বসংগীতের দরবারে। লতা মঙ্গেশকর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে। একটি মারাঠি ছবিতে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার নিরিখে ‘গিনেস বুক’-এ নাম উঠেছিল তাঁর। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করার অনন্য নজির গড়েছেন লতা মঙ্গেশকর। তিনি প্রায় ৩৬টি ভাষায় গান করেছেন। এর মধ্যে আছে বাংলাও।