আয়ুষ্মান খুরানাকে এত দিন সাদামাটা পাশের বাড়ির ছেলেটা ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করতে দেখা গেছে বেশি। এবার এই বলিউড তারকাকে নতুন এক অবতারে দেখা যাবে। আগে তাঁকে এই লুকে কেউ দেখেনি। এর জন্য লম্বা প্রস্তুতি নিয়েছেন আয়ুষ্মান।
রোগা-পাতলা, ছিপছিপে চেহারার আয়ুষ্মানের এবার পেশিবহুল শরীর দেখে যে–কারও চোখ কপালে উঠতে পারে। এই বলিউড তারকাকে তাঁর আগামী ছবি ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’তে এক ভারোত্তোলকের চরিত্রে দেখা যাবে। এর জন্য রীতিমতো চর্চা করে শরীরটাকে প্রস্তুত করেছেন তিনি। জানা গেছে, চরিত্রের প্রয়োজনে ১০ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন আয়ুষ্মান। গড়ে তুলেছিলেন সিক্স প্যাক শরীর। শুধু তা–ই নয়, ১৫০ কেজির বেশি ওজনও উঠিয়েছিলেন আয়ুষ্মান। ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’তে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি ফ্রি স্টাইল ভারোত্তোলন আর কুস্তি করে। তাই তাঁকে এই দুটির খুঁটিনাটি সব শিখতে হয়েছে। ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’তে ভারোত্তোলন আর কুস্তি যাতে বাস্তবসম্মত হয়, তার জন্য ছবিতে জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের নেওয়া হয়েছে। আয়ুষ্মানের ওজন বাড়ানোর জন্য বিদেশ থেকে এক ডায়েটিশিয়নকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁর পরামর্শমতো ডায়েট মেনে চলছেন এই বলিউড নায়ক।
করোনার মধ্যেই ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’র শুটিং হয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ভারতের অন্য কোথাও শুটিংয়ের অনুমতি না পেয়ে চণ্ডীগড়েই এই ছবির শুটিং হয়েছে। কোভিডসংক্রান্ত সব রকম বিধিনিষেধ পালন করে অত্যন্ত সাবধানতার মধ্যে ছবির শুটিং করেছেন নির্মাতারা। শুটিংয়ের সময় চণ্ডীগড়ের একটা পাঁচ তারকা হোটেল বুক করা হয়েছিল। শুটিং ফ্লোরে বা হোটেলে বাইরের কারও প্রবেশের অনুমতি ছিল না। আয়ুষ্মান খুরানার নিজের বাড়িও চণ্ডীগড়। তারপরও টানা ৪০ দিন তিনি হোটেলেই থেকেছেন। পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেননি। চণ্ডীগড় থেকেই ছবির ক্রু সদস্যদের নেওয়া হয়েছিল। সম্পূর্ণ সিনেমাটা চণ্ডীগড়কে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে বলে নির্মাতারা ছবির নাম শেষ পর্যন্ত ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’ চূড়ান্ত করেছেন।
এদিকে আয়ুষ্মানের স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপ তাঁর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘শর্মাজি কি বেটি’র শুটিং শুরু করেছেন। তাহিরার এ ছবি ভিন্ন বয়সের চার নারীকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে। আয়ুষ্মান এখন ব্যস্ত তাঁর আগামী ছবি ‘ডক্টরজি’র শুটিংয়ে। এই ছবিতে চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।