সিদ্ধার্থ শুক্লার অকালমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ৪০ বছর বয়সী এই অভিনেতা শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কুপার হাসপাতালে ৪ ঘণ্টা ধরে সিদ্ধার্থের ময়নাতদন্ত হয়েছে। বেলা ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া চলেছিল। গতকাল সারা রাত তাঁর দেহ কুপার হাসপাতালে ছিল। আজ দুপুরে সিদ্ধার্থের দেহ প্রথমে জুহুর ব্রহ্মকুমারীর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হবে। এখানে পূজা–পাঠ হবে। এরপর এই টেলিতারকার দেহ তাঁর বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। আর তারপরই সিদ্ধার্থের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
রিয়েলিটি শো বিগ বস ১৩ জয়ী এ তারকার মৃত্যুকে ঘিরে নানা খবর উঠে আসছে। এখনকার খবর অনুযায়ী সিদ্ধার্থ তাঁর প্রেমিকা শেহনাজ গিলের কোলে চিরনিদ্রায় চলে গিয়েছিলেন।
গুঞ্জন ছিল, শিগগিরই বিয়ে করবেন সিদ্ধার্থ ও শেহনাজ। একসঙ্গে জীবন শুরু করার পরিকল্পনাও নাকি শুরু করেছিলেন এই জুটি। কিন্তু সিদ্ধার্থের আকস্মিক মৃত্যু যেন থমকে দিয়েছে শেহনাজকেও। কথা বলতে ভালোবাসা, হাসিখুশি শেহনাজ বদলে গিয়েছেন একনিমেষে। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই শেহনাজ। তাঁর বাবা ফাঁস করেছেন যে মৃত্যুর সময় তাঁর মেয়ে সিদ্ধার্থের পাশে ছিলেন। শেহনাজ তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, ‘পাপা, আমি এখন কেমন করে বাঁচব, ও আমার কোলেই শেষনিশ্বাস নিয়েছে। এখন আমি কী করব। বাকি জীবন কীভাবে কাটাব।’
গত বুধবার রাত ১০টায় নাগাদ সিদ্ধার্থ বাসায় ফিরেছিলেন। জানা গেছে, তখনই শরীরে এক অদ্ভুত অস্থিরতা অনুভব করছিলেন এই টেলিতারকা। জানা গেছে, তাঁর মা তাঁকে লেবুপানি দিয়েছিলেন। এরপর ওষুধও খান তিনি। তাতেও সিদ্ধার্থের অস্থিরতা কমেনি। রাত দেড়টা নাগাদ শেহনাজের কোলে মাথা রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করেন তিনি। এভাবেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন সিদ্ধার্থ। শেহনাজ নিজেও টের পাননি যে তাঁর বন্ধু তখন ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন। তিনি নিজেও ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
সকাল সাতটা নাগাদ শেহনাজ দেখেন যে সিদ্ধার্থ একইভাবে শুয়ে আছেন। তখন তিনি সিদ্ধার্থের মা-বোনদের ডাকেন। অনেক ডাকাডাকির পরও চোখ খোলেননি এই টেলি–অভিনেতা। তখন তাঁরা তাঁদের পারিবারিক চিকিৎসককে ডেকে পাঠান। চিকিৎসক এসে সিদ্ধার্থকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেহনাজ আর সিদ্ধার্থের প্রথম দেখা হয়েছিল বিগ বস ১৩–এর বাসায়। বিগ বসের বাসায় থাকাকালীন দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তাঁদের জুটি দারুণভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সিদ্ধার্থ আর শেহনাজের জুটিকে তাঁদের ভক্তরা ভালোবেসে সিডনাজ বলে ডাকে। আজ সিডবিহীন নাজ একা।