‘ও বলেছে, জেলে একসঙ্গে এসেছে আর জেলের বাইরে একসঙ্গে যাবে’

শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের সঙ্গে আরবাজ মার্চেন্টকেও আটক করেছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো

২ অক্টোবর রাতে শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের সঙ্গে আরবাজ মার্চেন্টকেও আটক করেছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২৫ দিন ধরে আরিয়ানের সঙ্গে আর্থার রোড জেলে বন্দী আছেন তিনি। আরিয়ানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজের শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ছেলের স্বাস্থ্য নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন আরবাজের বাবা আসলাম মার্চেন্ট।
আরবাজের বাবা আসলাম পেশায় আইনজীবী। সম্প্রতি ছেলের জামিনের বিষয়ে কথাবার্তা বলতে আর্থার রোড জেলে গিয়েছিলেন আসলাম।

আরবাজের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর গতকাল এক সাক্ষাৎকারে আসলাম বলেন, ‘জামিনের বিষয়ে কথাবার্তা বলতে ওর সঙ্গে জেলে দেখা করেছিলাম। আমি আমার ছেলের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। ওর সাত কেজি ওজন কমে গেছে। ওর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে। জেলের খাবারের মান ভালো নয়। তাই ও খাওয়াদাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। আর শুরু থেকেই ও অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’
আরিয়ানকে নিয়েও উদ্বিগ্ন আরবাজ। এ প্রসঙ্গে আসলাম বলেন, ‘আরবাজ বলেছে আরিয়ানকে ও জেলে একলা রেখে কিছুতে বাইরে যাবে না। আর আরিয়ানের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, আরবাজ সেই নিয়ে চিন্তিত। ও বলেছে, জেলে ওরা একসঙ্গে এসেছে আর জেলের বাইরে একসঙ্গে যাবে। আমি ওর মুখে এসব কথা শুনে খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। ওর কাছে সবার আগে বন্ধুত্ব।’

আরিয়ান খান

আরবাজের বাবা বেশ কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বাচ্চাদের ওপর যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। সংস্থা এর তদন্ত করছে। এত আগে এ ব্যাপারে বলা ঠিক নয়। এনসিবি খুব সহায়তা করছে। আর বাচ্চাদের সঙ্গে এনসিবির কর্মকর্তাদের ব্যবহার খুবই ভালো। একজন আইনজীবী হিসেবে আমার আদালতের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। সত্যের নিশ্চয় জয় হবে। ও নির্দোষ প্রমাণিত হবে।’

আসলামের দাবি, আরবাজ অতিথি হিসেবে ২ অক্টোবর রাতে প্রমোদতরিতে আয়োজিত পার্টিতে যাচ্ছিল।

আরবাজ মার্চেন্ট

পার্টিতে যাওয়ার আগেই তাকে আটক করা হয়। আসলাম আদালতে দাবি করেছেন, এনসিবি সেদিন রাতের সিসিটিভি ফুটেজ যেন পেশ করে। আর তাহলে আসল সত্য ফাঁস হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, আদালত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করে না।

আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তারের পর বারবার উঠে আসছে মুনমুন ধামেচা আর আরবাজ মার্চেন্টের নাম

এনসিবি জানিয়েছে, আরবাজের জুতার ভেতর থেকে ছয় গ্রাম মাদক তারা উদ্ধার করেছে। গতকাল বোম্বে হাইকোর্টে এই মামলা চলাকালে আরিয়ান খানের আইনজীবী মুকুল রোহতগি জানিয়েছেন, ‘আরবাজ অস্বীকার করেছেন যে ওর থেকে মাদক পাওয়া গেছে। আর আমার মক্কেল (আরিয়ান) অন্যের সাজা কেন ভোগ করবে? কারণ, আরিয়ানের থেকে কোনো মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি। আর ওর কোনো শারীরিক পরীক্ষা হয়নি।’
বোম্বে হাইকোর্ট আজ আরিয়ান আর আরবাজের জামিনের রায় শোনাবেন।