চোখের জলে কে কেকে শেষ বিদায়
গত মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠানের পর হোটেলে ফিরে অসুস্থ বোধ করেন জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কে কে। হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি গায়ককে। ৫৩ বছর বয়সী গায়কের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েন ভক্তরা। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বুধবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে মুম্বাই বিমানবন্দরে পৌঁছায় কে কের মৃতদেহ। আজ শেষ বিদায় জানানো হয় জনপ্রিয় এই গায়ককে।
বেলা ২টায় সম্পন্ন হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। সাদা ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে করে কে কের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভারসোবা হিন্দু শ্মশানঘাটে। পথের ধারে সারি সারি মানুষ শেষ বিদায় জানিয়েছেন এই সংগীতশিল্পীকে।
শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি, ছেলে নকুল, আত্মীয়স্বজন ও বিনোদন জগতের তারকারা। বিনোদন দুনিয়ার চেনা মুখের মধ্যে ছিলেন জাভেদ আখতার, শংকর মহাদেবন, উদিত নারায়ণ, অরবিন্দর সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, অলকা ইয়াগনিক, মিনি মাথুর, কবির খান, সেলিম মার্চেন্ট, শিল্পা রাও, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, জাভেদ আলী, ফয়জল খান, রাহুল বৈদ্যসহ আরও অনেকে।
এ ছাড়া প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী হরিহরণ সস্ত্রীক প্রয়াত গায়কের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাজির হন আন্ধেরির পার্ক প্লাজা আবাসনে। গায়ক হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার অনেক আগেই দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে কে কের গান শুনে মুগ্ধ হন হরিহরণ। তিনিই কে কেকে গানের ক্যারিয়ার গড়তে মুম্বাইতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কে কের মেয়ে তামারা ইনস্টাগ্রামে বাবার উদ্দেশে আবেগঘন এক পোস্ট করেছেন। তামারা শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের কার্ড শেয়ার করে লিখেছেন, ‘চিরকাল তোমায় ভালোবাসব বাবা।’