প্রকৃতির পাশে শ্রুতি
নতুন কিছু শেখো—এ মন্ত্র পড়েই দিন শুরু হয় শ্রুতি হাসানের। জনপ্রিয় হওয়ার তাগিদ দক্ষিণ ভারতীয় এই অভিনেত্রীর অতটা নেই। তার চেয়ে বরং অজানাকে জানার মধ্যেই তাঁর বেশি আনন্দ। ‘ইয়ুথ আইকন’ শব্দটিতে একটা ভার আছে, তাৎপর্য আছে। আর ‘জনপ্রিয়তা’ শব্দের ঘাড়ে সব সময় শ্বাস ফেলতে থাকে অজনপ্রিয়তা!
একটু ভাবলেই বোঝা যায়, ঠিকই তো! একটু এদিক–ওদিক হলেই ফসকে যেতে পারে জনপ্রিয়তার মুকুট। কিন্তু দিনে দিনে নতুন কিছু শেখা উপহার দিতে পারে অন্য এক জীবন। শ্রুতির ভাষায়, ‘আমি প্রতিদিন সকালে জনপ্রিয় হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে জাগি না। বরং ঘুম থেকে উঠে ভাবি, নতুন কী বলা যায়, যা এমন বিষয়ের প্রতি আলো ফেলবে, যে বিষয়ে কেউ জানে না।’ শ্রুতির বাবা কমল হাসান নামী অভিনয়শিল্পী। তিনিও দক্ষিণ ভারত মাতিয়ে রেখেছেন। বলিউডেও রেখেছেন প্রতিভার ছাপ। তাঁরই মেয়ে শ্রুতি হাসানের কাছে প্রতিটি দিন মানে নতুন কিছু শেখা। এ সাক্ষ্য বলে দেয়, গ্ল্যামারের আড়ালে যেন এ এক অন্য শ্রুতি।
৬ জুলাই ছিল ওয়ার্ল্ড জুনোসেস ডে। শ্রুতিকে করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচারের (ডব্লিউডব্লিউএফ) ভারতীয় শুভেচ্ছাদূত। সে উপলক্ষেই কথা বলেছিলেন শ্রুতি। তিনি বলেন, ‘যদি আপনি এমন একটি জায়গা পান, যেখান থেকে মানুষ আপনার কথা শোনে, তাহলে এটি হবে আপনার জন্য এক দারুণ উপহার।’ আর শ্রুতির কাছে এটি অনেক সম্মানেরও ব্যাপার। ডব্লিউডব্লিউএফ প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করে। দিন দিন মানুষ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে শ্রুতি বলেন, ‘মানুষ মনে করে প্রকৃতি আমাদের থেকে অনেক দূরের কিছু। যেমন বনের বাঘ, হাতি। কিন্তু তারা আমাদের ভূ-ঐতিহ্যেরই অংশ। বন্য প্রাণী আমাদের গ্রহের মুকুটে থাকা মুক্তোর মতো। কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না যে সবকিছুর ওপর আমরা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছি।’
মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে এই যে দূরত্ব, একে ঘোচাতে চান কমল হাসানের কন্যা। দক্ষিণি এই অভিনেত্রীর হাতে এখন লাবাম ও সালার নামে দুটো ছবি আছে। একটি তামিল, অন্যটি তেলেগু। লাবাম-এ তাঁকে দেখা যাবে বিজয় সেথুপতির সঙ্গে। সালার ছবিতে তাঁর নায়ক বাহুবলীর প্রভাস।