বাবার পর এবার ভাইকে হারালেন অজয়

অজয় দেবগন ও অনিল দেবগন
সংগৃহীত

বাবার পর এবার ভাইকে হারালেন বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগন। গতকাল সোমবার রাতে মারা গেছেন তাঁর বড় ভাই চিত্রপরিচালক অনিল দেবগন। আজ মঙ্গলবার অজয় দেবগন নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। যদিও কী কারণে অনিল দেবগন মারা গেছেন, তা এখনও জানানো হয়নি। গত বছর মে মাসে অজয়-অনিলের বাবা অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক বীরু দেবগন মারা গেছেন।

ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাহত অজয় দেবগন টুইটারে অনিলের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার ভাই অনিল দেবগনকে গতকাল রাতে হারিয়েছি। অসময়ে তাঁর এভাবে চলে যাওয়ায় আমরা শোকাহত। অজয় দেবগন ফিল্মস তাঁকে মনে রাখবে।’
টুইটারে তিনি আরও জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আপাতত তাঁদের বাড়িতে কোনো আয়োজন করা হচ্ছে না। ২০০২ সালে অনিল দেবগনের পরিচালনায় ‘রাজু চাচা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অজয়। এরপর ২০০৫ সালে ‘ব্ল্যাকমেল’ ছবিতেও তাঁর পরিচালনায় অজয় দেবগন কাজ করেছিলেন।

অনিল দেবগন অনেক বছর ধরে বলিউডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অজয়ের অভিনয় করা অনেক ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ‘জান’, ‘ইতিহাস’, ‘পেয়ার তো হোনা হি থা’ ও ‘সন অব সর্দার’ ছবিতে সহপরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন অনিল আর কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন অজয়।

অজয় দেবগন
ইনস্টাগ্রাম

২০১৯ সালের ২৭ মে অজয়ের বাবা বর্ষীয়ান অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার, প্রযোজক ও পরিচালক বীরু দেবগন মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। দেড় শতাধিক ছবিতে অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি করেছেন বীরু দেবগন। ‘হিন্দুস্তান কি কসম’ নামের একটি ছবি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেন তিনি।

প্রযোজক হিসেবে বলিউডে তিনটি ছবি করেছেন বীরু—‘হিন্দুস্তান কি কসম’, ‘দিল কেয়া করে’ ও ‘সিংহাসন’। এ ছাড়া তিনি ‘ক্রান্তি’ (১৯৮১), ‘সৌরভ’ (১৯৮৯) ও ‘সিংহাসন’ (১৯৮৬) ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। ১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জিগার’ ছবির ভাবনা ছিল তাঁর।