বিচ্ছেদ নয়, স্বামী–স্ত্রীর ঝগড়া: ধানুশের বাবা

ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত ও ধানুশ

‘এসব কিছু নয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এসব হতেই পারে। বিচ্ছেদ নয়, তাদের ঝগড়া হয়েছে।’ দক্ষিণী তারকা ধানুশ ও তাঁর স্ত্রী ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের ঘোষণার পর এমনটিই বলেছেন ধানুশের বাবা তামিল চলচ্চিত্রকার কস্তুরি রাজা। বিবাহিত দম্পতিদের এসব খুব স্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করেন তিনি।

গত সোমবার ১৮ বছরের সংসারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছিলেন দক্ষিণী তারকা ধানুশ ও চলচ্চিত্রকার ঐশ্বরিয়া রজনীকান্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুজন একটি যৌথ বিবৃতি পোস্ট করেন। সেই বিচ্ছেদকে নাকচ করে দিয়েছেন ধানুশের বাবা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া এখন চেন্নাইতে নেই। দুজনই হায়দরাবাদে। ফোনে দুজনের সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে, আমি তাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছি।

বিচ্ছেদ নিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘বন্ধু, স্বামী-স্ত্রী, মা-বাবা ও পরস্পরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে ১৮ বছর আমরা একসঙ্গে আছি। আমাদের সম্পর্কটা ছিল বোঝাপড়া, মেনে নেওয়া, মানিয়ে চলার। আজ আমরা এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি, যেখান থেকে আমাদের দুজনের পথ আলাদা হয়ে গেছে। ঐশ্বরিয়া আর আমি নিজেদের মঙ্গলের জন্য আলাদা হওয়ার, আর ব্যক্তিগতভাবে পরস্পরকে আরও ভালোভাবে জানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের এই সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন আর পরিস্থিতিটা সামাল দিতে আমাদের সুযোগ দিন।’ ধানুশের বাবা মন্তব্য করলেও বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ঐশ্বরিয়ার বাবা দক্ষিণের মহাতারকা রজনীকান্ত।

‘আতরঙ্গি রে’ ছবিতে অক্ষয় কুমার, সারা আলী খান ও ধানুশ

ধানুশ ২০০২ সালে ফিল্মে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়ে পেয়েছেন ভীষণ জনপ্রিয়তা। এ পর্যন্ত তিনি অর্ধশতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তাঁকে শেষ পর্দায় দেখা গেছে ‘আতরঙ্গি রে’ ছবিতে। আনন্দ এল রাই পরিচালিত এই ছবিতে আরও অভিনয় করেন সারা আলী খান, অক্ষয় কুমার প্রমুখ।

ধানুশ ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয় ২০০৪ সালে। তাঁদের দুই ছেলে যাত্রা রাজা ও লিঙ্গা রাজার জন্ম যথাক্রমে ২০০৬ ও ২০১০ সালে।