বিয়ের খরচের পাঁচ গুণ খোরপোশ পাবেন সামান্থা
দক্ষিণের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি সামান্থা রুথ প্রভু আর নাগা চৈতন্যর বিবাহবিচ্ছেদের খবরে মুখর নেটদুনিয়া। এমনকি বিবাহবিচ্ছেদের পর সামান্থা কত কোটি রুপি খোরপোশ হিসেবে পাবেন, তা-ও খবরে উঠে এসেছে।
নানা মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে, সামান্থা আর নাগার বিয়ে টিকে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। অনেকের অনুমান, আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি হতে চলেছে। আবার এ-ও শোনা যাচ্ছে যে সামান্থা আর নাগা ৭ অক্টোবর তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের আধিকারিক ঘোষণা করতে চলেছেন। ২০১৭ সালের এই দিনেই তাঁরা সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন। তবে এখনো তাঁরা এ ব্যাপারে নিশ্চুপ।
শোনা গেছে, এই দম্পতির সম্পর্ক ভাঙনের মূল কারণ সামান্থার সিনেমা আর ক্যারিয়ারের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। তাঁর ফিল্মি ক্যারিয়ার এখন দুরন্ত গতিতে ছুটছে। আলোচিত সিরিজ ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান টু’তে সামান্থার দুর্দান্ত অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। সিরিজটিতে বেশ কটি ঝুঁকিপূর্ণ স্টান্ট রয়েছে। বিয়ের পর খোলামেলা ফটোশুট করিয়েছেন সামান্থা। এসবেই নাকি ঘোর আপত্তি আক্কিনেনি পরিবারের। এই দক্ষিণি নায়িকার স্বামী নাগা আর শ্বশুর জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা নাগার্জুন চান না যে তাঁদের বাড়ির বউ এই ধরনের ফটোশুট করাক বা পর্দায় সাহসী হয়ে উঠুক।
নাগা আর সামান্থার খুব ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল। গোয়াতে তাঁদের ডেস্টিনেশন ম্যারেজ হয়েছিল। নাগার্জুন ছেলের বিয়েতে পানির মতো অর্থ খরচ করেছিলেন। জানা গেছে, নাগা আর সামান্থার এই জমকালো বিয়েতে ১০ কোটি রুপির মতো খরচ হয়েছিল।
এখন বিবাহবিচ্ছেদের পর সামান্থা খোরপোশের জন্য কত রুপি পাবেন, তা নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। জানা গেছে, বিয়েতে যত রুপি খরচ হয়েছে, তার পাঁচ গুণ বেশি খোরপোশ পাবেন সামান্থা। এই দক্ষিণি রূপসী নাকি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য নাগার থেকে বড় অঙ্ক খোরপোশ হিসেবে দাবি করেছেন। সামান্থা নাগার থেকে বিচ্ছেদের পর ৫০ কোটি রুপি খোরপোশ হিসেবে পেতে পারেন। এর মধ্যে স্থায়ী ও বর্তমান সম্পদ মজুত আছে।
২০১০ সালে সামান্থা আর নাগা চৈতন্য তেলেগু ছবি ‘ইয়ে মায়া চেসাবে’তে একসঙ্গে কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে হায়দরাবাদে তাঁদের বাগদান পর্ব হয়েছিল। আর ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর হিন্দুমতে সামান্থা আর নাগা গোয়াতে বিয়ে করেন। পরদিন তাঁদের খ্রিষ্টান রীতি অনুযায়ী বিয়ে হয়। আর সেই থেকে আক্কিনেনি পরিবারের সদস্য সামান্থা। তখন থেকে তিনি তাঁর নামের সঙ্গে আক্কিনেনি পদবি ব্যবহার করা শুরু করেন। সামান্থা আর নাগার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে। এই দক্ষিণি তারকা তাঁর নাম থেকে ‘আক্কিনেনি’ পদবিটা মুছে ফেলেছিলেন। আর তার পর থেকে সামান্থা আর নাগার বৈবাহিক সম্পর্ক ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।