ম্যারাডোনাকে নিবেদিত তারকাদের শোকের স্ট্যাটাস
সদ্য প্রয়াত ফুটবল কিংবদন্তি ম্যারাডোনার মৃত্যুতে কাঁদছে বিশ্ব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্রাঙ্গনের তারকারাও। শোকের এক সুতোয় বিশ্বকে বেঁধে যিনি চলে গেলেন, তাঁকে ঘিরে সিনেমার তারকাদের অনুভূতি কী?
বলিউডের কিং শাহরুখ খান টুইটারে লিখেছেন, ‘ডিয়েগো ম্যারাডোনা, আপনার আগমনের আগেও ফুটবল সুন্দর ছিল, কিন্তু এত সুন্দর ছিল না। আপনি নেই, ভাবতেই যন্ত্রণা হচ্ছে। বিশ্ব যেভাবে মুগ্ধ হয়ে আপনাকে দেখেছে, ওপারেও আপনার পায়ের জাদু অব্যাহত থাকুক।’ ম্যারাডোনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের। ফুটবলারের সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন তিনি। সেখান থেকে দুটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে কারিশমা কাপুর লিখেছেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আপনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। মৃত্যুর পরের জীবন সুখের হোক।’ রণবীর সিং ম্যারাডোনার একটি সাদাকালো ছবি শেয়ার করে ভাঙা হৃদয়ের স্মারক জুড়ে দিয়েছেন। বলিউড পরিচালক অনুরাগ ক্যাশ্যপ একটি ভাঙা হৃদয়ের ইমোজি এঁকে শেয়ার করেছেন ম্যারাডোনার মৃত্যুসংবাদ। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া লিখেছেন, ‘যেখানেই থাকুন, একই রকম থাকুন। আপনি মহাকালের সেরা ফুটবলার। আপনি সত্যিকারের কিংবদন্তি।’
স্প্যানিশ তারকা অভিনেতা আন্তোনিয়ো বান্দেরাস লিখেছেন, ‘ম্যারাডোনা সেই ব্যক্তি, যিনি বিশ্বের কোটি হৃদয়ে একই উত্তেজনার সঞ্চার করেছেন। এই মানুষটির জন্য কেবল একেকটি ম্যাচ নয়, ফুটবলেরই ভাগ্য বদলে গেছে। একটি গোল বলকে লাখো মানুষ ভালোবেসেছে কেবল তাঁর কারণে। ম্যারাডোনার পরিবার, কাছের মানুষ আর বিশ্বব্যাপী তাঁর ভক্তদের আমার পক্ষ থেকে সমবেদনা।’
ম্যারাডোনার উক্তি তুলে দিয়ে অভিনেত্রী নাওমি ক্যাম্পবেল লিখেছেন, ‘“আমিই ম্যারাডোনা, যে গোল দেয়, ভুল করে। সবার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো মেরুদণ্ড রাখে। যাঁরা আমার সমালোচনা করেছেন, তাঁরা নিজেদের সেই শব্দগুলো পানিতে গুলে খান। সৃষ্টিকর্তার যখন সময় হবে, তিনি নিজেই আমাকে নিয়ে যাবেন।” ম্যারাডোনা, আপনি যেমন ছিলেন, তেমনই থাকবেন। শারীরিকভাবে আপনার চলে যাওয়ায় কিচ্ছু যায়–আসে না। বিশ্বের সব শিশু-কিশোর আর তরুণের ভেতর আপনি যে স্বপ্ন ঢেলে দিয়ে গেছেন, সেখানেই আপনি বেঁচে থাকবেন। আপনার খেলা দেখে যে জীবনে একবার উজ্জীবিত হয়েছে, ফুটবল ভালোবেসেছে, তাঁর ভেতরে আপনি আছেন, থাকবেন।’
টালিউডের শিল্পীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন ম্যারাডোনাকে নিয়ে নিজেদের অনুভূতির কথা। দেব লিখেছেন, ‘ওপারে ভালো থাকুন।’ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আমাদের ছেলে (অর্পিতা ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে) ফুটবলার হতে চায়। ফুটবল আমাদের জীবনের অংশ। আমাদের সন্তানের মতো কোটি হৃদয়ে ফুটবলের স্বপ্ন গেঁথে দিয়েছেন এই ভদ্রলোক (ম্যারাডোনা)। আমার চোখের সামনে এখনো স্পষ্ট ভেসে ওঠে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে শতাব্দীর সেই সেরা গোলটির কথা।’ অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, ‘না, আমি বিশ্বাস করি না। আপনি সময়ের সবচেয়ে আলাদা ব্যক্তিত্ব। সবার থেকে আলাদা। সবকিছু থেকে আলাদা। আপনি এভাবে আমার কাছ থেকে আমার শৈশব কেড়ে নিতে পারেন না।’ অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ও মেনে নিতে পারেননি তাঁর প্রিয় ফুটবলারের প্রয়াণ। তিনি লিখেছেন, ‘আমি এই মৃত্যুসংবাদ প্রত্যাখ্যান করলাম। এটা চলে যাওয়ার সময় না। আমি মানি না, মানব না।’