আমির খান আরও যোগ করেন, ‘তিনি যদি আমার পাশে এসে বসতেন, আমি উঠে চলে যেতাম। অন্তত ৫০ ফুট দূরে গিয়ে বসতাম। এমনকি শুটিং শেষ করে ফেরার সময় গুডবাইটুকুও বলতাম না। শুধু সিনের সময় কথা বলতেই হতো। আর কাজের জন্য খুব প্রয়োজনে কথা বলতে হলে সেটুকুও পেশাদার উপায়েই বলতাম।’
একই সময়ে আমিরের জীবনে ঘটে এক অঘটন। প্রথম স্ত্রী রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় আমিরের। সে সময় সবকিছু ভুলে আমিরকে ফোন করেছিলেন জুহি। আমির বলেন, ‘রিনার সঙ্গেও জুহির ভালো সম্পর্ক ছিল। যখন আমাদের বিচ্ছেদ হয়, সে সময় জুহি আমাকে ফোন করেন। আমাদের মধ্যে সমস্যা যাতে মেটানো যায়, সেই উদ্দেশ্যে। জুহি জানতেন, আমি ফোনটা না–ও ধরতে পারি। তবু তিনি করেছিলেন, যেটা আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।’
রোমান্টিক নায়ক হিসেবে বলিউডে পথচলা শুরু আমির খানের। ধীরে ধীরে নিজেকে তিনি নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। হয়ে উঠেছেন বলিউডের মি. পারফেকশনিস্ট। রুপালি পর্দা ছাড়াও বাস্তব জীবনে সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে খুবই গুরুত্বসহকারে যুক্ত আমির খান।
রুপালি পর্দার তারকাদের এখনকার ট্রেন্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। আমির সেখানে খুব একটা সচল ছিলেন না কখনোই। এবার নিজের ৫৬তম জন্মদিনে ঘোষণাই দিয়ে বসলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর থাকছেন না তিনি। আমির খান তাঁর শেষ পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার জন্মদিনে ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে তোলার জন্য কৃতজ্ঞতা। আমার হৃদয় পূর্ণ হয়ে গেছে। আরেকটি খবর দিতে চাই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা আমার শেষ পোস্ট হতে যাচ্ছে। আমি অন্য কাজে খুবই ব্যস্ত, তাই আমি এসব ভণ্ডামি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আমির আরও জানান, ‘আমাদের যোগাযোগ হবে, আগে যেভাবে করতাম সেভাবে। একেপি (আমির খান প্রোডাকশনস) একটি অফিশিয়াল চ্যানেল চালু করেছে। আমার পরের সিনেমার সব আপডেট সেখানে পাওয়া যাবে। আপনাদের জন্য একমুঠো ভালোবাসা।’
আমির খানের এই পোস্টের নিচে ভক্তরা মন্তব্য করেছেন। তাঁরা অনুরোধ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচল থাকার জন্য। একজন লিখেছেন, ‘আপনি বিরতি দিয়ে পোস্ট দিতেন। কিন্তু সেই পোস্টের জন্যও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকতাম। দয়া করে একেবারে চলে যাবেন না।’
রবার্ট জেমেকিস পরিচালিত এবং টম হ্যাংকস অভিনীত ‘ফরেস্ট গাম্প’ ছবির হিন্দি রিমেক নিয়ে রুপালি পর্দায় আসবেন আমির খান। এই ছবির নাম দেওয়া হয়েছে ‘লাল সিং চাড্ডা’। ছবিতে আমিরকে দেখা যাবে কেন্দ্রীয় চরিত্রে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর খান।