‘বাবা নিরালা’র অন্তরঙ্গ দৃশ্য করতে চাননি ববি

শুরুতে ‘বাবা নিরালা’র অন্তরঙ্গ দৃশ্য করতে চাননি ববিইনস্টাগ্রাম

দীর্ঘ সময় ধরে দুঃস্বপ্নের রাত কাটিয়েছেন বলিউড অভিনেতা ববি দেওল। দীর্ঘদিন হাতে কোনো কাজ ছিল না তাঁর। বলা যায়, ওই সময় ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হয়েছিলেন সালমান খান। ভাইজানের ‘রেস থ্রি’র হাত ধরে আবার মূল স্রোতে ফিরেছিলেন ববি। এরপর আর তাঁকে পেছন ফিরে দেখতে হয়নি। তবে অতীতের সব সফলতাকে ছাপিয়ে গেছে এমএক্স প্লেয়ারে মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ ‘আশ্রম’।

ববি দেওল
ইনস্টাগ্রাম

নামজাদা পরিচালক প্রকাশ ঝা পরিচালিত এই সিরিজের প্রথম সিজন দারুণ প্রশংসিত হয়। আর তাঁরই হাত ধরে সম্প্রতি মুক্তি পায় ‘আশ্রম টু’। সিজিন টু-ও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ সফলতার অন্যতম মূল কান্ডারি ববি দেওল এক ভার্চ্যুয়াল সাক্ষাৎকারে প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধিকে জানালেন ‘আশ্রম’-কে ঘিরে নানান কথা।

এই আড্ডার শুরুতেই উঠে এসেছিল ‘আশ্রম’-এর সফলতার কথা। এ প্রসঙ্গে ববি বলেন, ‘সত্যি বলতে আশ্রমের প্রথম সিজনের পর দ্বিতীয় সিজন নিয়ে আমরা সবাই কমবেশি নার্ভাস ছিলাম। পাশাপাশি উত্তেজিত ছিলাম। আমরা সকলেই আমাদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছি। সকলের প্রশংসায় আমরা অভিভূত। দর্শক আমার অভিনীত চরিত্রটি দারুণভাবে পছন্দ করছেন। আর এটাই আমাকে আগামী দিনে আরও ভালো কাজ করার প্রতি অনুপ্রাণিত করছে।’

স্ত্রীর সঙ্গে ববি
ইনস্টাগ্রাম

এমএক্স প্লেয়ারের এ সিরিজে ধর্মেন্দ্রপুত্র ববিকে ‘বাবা নিরালা’ নামের এক দুর্নীতিগ্রস্ত ধর্মগুরুর চরিত্রে দেখা গেছে। এমনকি ‘আশ্রম’-এ তাঁকে বেশ কিছু অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতেও দেখা গেছে। তবে শুরুর দিকে এ ধরনের দৃশ্যে মোটেও সহজ স্বচ্ছন্দ ছিলেন না ববি। বরং অস্বস্তি হয়েছে। শুরুতে ‘বাবা নিরালা’র অন্তরঙ্গ দৃশ্য করতে চাননি তিনি।

নিজের চরিত্র সম্পর্কে এই বলিউড তারকা বলেন, ‘শুরুর দিকে শুটিংয়ের পর আমি রোজ রাতের বেলায় বসে ভাবতাম যে আমি কী করছি। কিন্তু দিন শেষে আমি একজন অভিনেতা। তাই আমাকে চরিত্র অনুযায়ী পারফর্ম করতে হবে। চরিত্রের ব্যক্তিত্বকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে হবে। তবে সত্যি বলতে অন্তরঙ্গ দৃশ্য করার সময় আমি বেশ নার্ভাস ছিলাম। মোটেও স্বচ্ছন্দ ছিলাম না আমি। কিন্তু নিজের মনকে বুঝিয়েছি যে আমি একজন অভিনেতা। সিরিজ দেখার সময় আপনি যেন অনুভব করেন যে পর্দায় “ববি” নয়, “বাবা নিরালা” আছে।’

কিন্তু ববি মনকে বুঝিয়েছি যে আমি একজন অভিনেতা
ইনস্টাগ্রাম


‘আশ্রম’ সিরিজে ছেলের এই সফলতায় দারুণ খুশি ধর্মেন্দ্র। তিনি নিজে অবশ্য এখনো গোটা সিরিজ দেখে উঠতে পারেননি। তবে মা–বাবার মুখে হাসি দেখে ববিও বেজায় খুশি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার এই সফলতায় মাম্মি-পাপা দুজনেই খুব খুশি। তাঁদের খুশির চেয়ে বড় আমার কাছে আর কীই–বা হতে পারে।’

ববি দেওল
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বাবাকে আদর্শ করে আজীবন চলতে চান ববি। আউটসাইডার হয়েও ধর্মেন্দ্র বলিউডে নিজের জায়গা করেছেন। বাবার প্রসঙ্গ উঠতেই ববি একনিশ্বাসে বললেন, ‘পাপা অত্যন্ত ইতিবাচক মানুষ। উনি জীবনটাকে সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন। আর পাপা মানুষের সঙ্গে সহজে মিশতে পারেন। তাই সকলে ওনাকে খুব ভালোবাসে। ধর্মেন্দ্রর পুত্র হিসেবে আমি গর্বিত।’

বাবার সঙ্গে ববি
ইনস্টাগ্রাম

এ মুহূর্তে ববি ব্যস্ত তাঁর আগামী প্রজেক্ট ‘লাভ হোস্টেল’ নিয়ে। আবার এক ব্যতিক্রমী চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।