এফডিসিতে এবার কাঁদলেন অভিনেত্রী নাসরিন

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এসে এবার কাঁদলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাসরিন
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এসে এবার কাঁদলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নাসরিন। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন এই অভিনেত্রী। এর আগে ১৮৪ জন চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীর সদস্য পদ বাতিল হওয়ার খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিয়াজ আহমেদ। সেই কান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একই সঙ্গে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মানবিক বলে উল্লেখ করেন। কেউ কেউ ট্রল করেন।

‘শুধু সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের জন্য দোয়া চাই’– নাসরিন
ছবি: সংগৃহীত

২৮ জানুয়ারি অভিনয়শিল্পী সমিতির নির্বাচন। দুই বছর মেয়াদি এই নির্বাচনের প্রচারণায় এফডিসি এখন প্রাণবন্ত। ঘুরেফিরে দেখা যাচ্ছে সব চলচ্চিত্র তারকাকে। শিল্পী সমিতি নির্বাচনের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলছেন অভিনয়শিল্পীরা। এই সময় গণমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন নাসরিন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আর কারও জন্য কিছু বলতে চাই না। শুধু সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের জন্য দোয়া চাই। তিনি যেমন যোগ্য মানুষ, তেমনি যোগ্য নেতা। আমাদের সিনিয়রদের মধ্যে তিনি একজন। তিনি এই সম্মানের যোগ্য। দয়া করে এই বয়সে কাঞ্চন ভাইকে বঞ্চিত করবেন না। আমার কথাকে কেউ অন্যভাবে নেবেন না।’

পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন এই অভিনেত্রী
ছবি: সংগৃহীত

নাসরিন প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘যেকোনোভাবেই হোক কাঞ্চন ভাইয়ের সম্মান আমাদের রাখতে হবে। আমাদের এফডিসিকে রক্ষা করতে হলে আজ কাঞ্চন ভাইকে দরকার। কাঞ্চন ভাই একটা প্রতিষ্ঠান। আমার এই কর্মক্ষেত্র একটি দেশ। এটাকে রক্ষা করতে হবে। আমার শুধু একটাই চাওয়া, কাঞ্চন ভাই যেন এফডিসি থেকে অসম্মানিত না হন। এমন যেন না হয়, আমাদের বটবৃক্ষ কাঞ্চন ভাই এফডিসি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।’ এফডিসিতে একটি আলোচনা থাকার কারণে খুব বেশি কথা বলতে পারলেন না তিনি।

ভোটাধিকার হারানো মানুষগুলোর সঙ্গে অভিভাবক সংগঠনের অন্যায় হয়েছে বলে কেঁদে ফেলেন রিয়াজ
ছবি: সংগৃহীত

এর আগে ১৭ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রচারণায় আসেন রিয়াজ। এ সময় রিয়াজ জড়িয়ে ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ জনের কয়েকজন তাঁদের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কাঁদতে থাকেন। তখন ভোটাধিকার হারানো মানুষগুলোর সঙ্গে অভিভাবক সংগঠনের অন্যায় হয়েছে বলে কেঁদে ফেলেন রিয়াজ। তিনি কথা দেন, তাঁদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।