দুই হাতে ৭ সিনেমার কাজ ইমনের

‘মন ভালো করা বেশ কয়েকটা ছবির কাজ করছি’—ফেসবুকে সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইমন সাহা এই পোস্ট দিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের গানের সংগীত পরিচালনাসহ সাতটি চলচ্চিত্রের আবহ সংগীতের কাজ করছি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে কাজ করছেন ইমন সাহা

প্রতিটি ছবিই আমাকে কোনো না কোনোভাবে মুগ্ধ করছে। দেশের চলচ্চিত্র নিয়ে নতুন করে আবারও আশাবাদী হয়ে উঠছি।’

ইমন সাহা এই মুহূর্তে কাজ করছেন রনি ভৌমিকের ‘মৃধা বনাম মৃধা’, এস এ হক অলিকের ‘গলুই’, শফিক হাসানের ‘বাহাদুরি’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘যাও পাখি বলো তারে’, ইফতেখার চৌধুরীর ‘মুক্তি’, রওশন আরা নীপার ‘গ্রিনকার্ড’ ও বদরুল আনাম সৌদের ‘শ্যামাকাব্য’। ইমন সাহা বলেন, ‘দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি চলচ্চিত্র শিগগিরই মুক্তি পাবে।’

ইমন সাহা
ছবি: প্রথম আলো

এদিকে ‘মৃধা বনাম মৃধা’ চলচ্চিত্রের আবহ সংগীতের কাজের মধ্য দিয়ে ইমন সাহা যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর রেকর্ডিং স্টুডিও মুনল্যান্ডের যাত্রা শুরু করেছেন। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যত চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা ও আবহ সংগীতের কাজ করবেন, সবই এখান থেকে হবে। আবহ সংগীতের কাজ করতে গিয়ে প্রতিটি সিনেমা তাঁর দেখার সুযোগ হয়।

‘গলুই’ সিনেমার গান রেকর্ডিংয়ে স্টুডিওতে (বাম থেকে) সংগীত ইমন সাহা, শাহ আলম সরকার, কুুমার বিশ্বজিৎ ও পরিচালক এস এক অলিক

তিনি বলেন, ‘অসাধারণ গল্পের কয়েকটি সিনেমার কাজে যুক্ত হয়েছি। তাই কাজ করেও তৃপ্তি পাচ্ছি। গল্পের পাশাপাশি শিল্পীদের অভিনয়ও আমাকে মুগ্ধ করেছে। এর মধ্যে দুটি চলচ্চিত্রের কথা তো না বললেই নয়। “মৃধা বনাম মৃধা” চলচ্চিত্রে তারিক আনাম খানের অভিনয় আমাকে নতুন করে ভাবিয়েছে। এত বড়মাপের একজন অভিনয়শিল্পীর চলচ্চিত্রে আরও নিয়মিত হওয়া দরকার।’

শাকিব খানের অনেক চলচ্চিত্রের আবহসংগীত করেছেন, গানের সুর–সংগীত পরিচালনাও করেছেন ইমন সাহা। ‘গলুই’ নিয়েও মুগ্ধতার কথা জানালেন তিনি। ইমন সাহা বলেন, ‘শাকিব খানের জীবনের অন্যতম সেরা একটি চলচ্চিত্র হতে যাচ্ছে এটি। এই চলচ্চিত্র দর্শককে নতুন করে তাঁকে নিয়ে ভাবাবে, চমকে দেবে। পূজাও দারুণ অভিনয় করেছে। চলচ্চিত্রের দেখলাম আয়োজনেও কোনো কমতি রাখেননি পরিচালক।’

ইমন সাহা
সংগৃহীত

সাত চলচ্চিত্রের আবহ সংগীতের কাজের চাপে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বে আরও কয়েকটি ভালো মানের চলচ্চিত্রের কাজ ছেড়ে দিতে হয়েছে ইমনকে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন দিন, আমার এখানে তখন রাত। কাজগুলো করতে গিয়ে সিনেমা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে হয়। দুই দেশের সময়ের সমন্বয় করাটা যদিও কষ্টসাধ্য, এরপরও করতে হচ্ছে। আমি বলব, আমি খুবই ভাগ্যবান, সৃষ্টিকর্তা আমাকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রেখেছেন। সংগীতের মধ্যেই ব্যস্ত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন।’