দেশে ফিরেছেন সাদ–বাঁধনেরা
কান থেকে ট্রেনে প্যারিস। প্যারিস থেকে কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে দোহা হয়ে ঢাকা। প্রায় ৬০ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে প্রিয় ঢাকায় ফিরেছে রেহানা টিম। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছবির প্রধান অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তাঁদের ঢাকায় ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার কাস্টিং ডিরেক্টর ইয়াছির আল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্যারিস থেকে ঢাকায় আসার পথে ট্রানজিটে সময় লেগেছে। আলহামদুলিল্লাহ সবাই নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছেছেন। এখন সবাই যাঁর যাঁর বাসায় আছেন। বিশ্রামে আছেন।’
কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে ২৬ জুন প্যারিসে পৌঁছায় আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, আজমেরী হক বাঁধনসহ সাতজনের একটি দল। ১০ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে কানে যান তাঁরা। এই দলে সাদ, বাঁধন ছাড়াও ছিলেন ছবির শব্দ প্রকৌশলী শৈব তালুকদার, কালারিস্ট চিন্ময় রয়, প্রোডাকশন ডিজাইনার আলী আফজাল উজ্জ্বল, চিত্রগ্রাহক তুহিন নাজমুল ও নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের ১১ দিনের ভ্রমণে সাদ–বাঁধনেরা কুড়িয়েছেন প্রশংসা। উৎসবের আঁ সার্তে রিগা বিভাগে প্রদর্শিত হওয়া ছবিটি কোনো পুরস্কার না পেলেও বিশ্ব চলচ্চিত্রের মর্যাদাপূর্ণ এই আসরে বাংলাদেশের জন্য এনে দিয়েছে সম্মানজনক পরিচিতি।
পুরস্কার না পাওয়ায় কোনো অভিমান বা মনঃকষ্ট কাজ করছে কী? বাঁধন বলেন, ‘একদমই না। আমি কিন্তু পুরস্কার ঘোষণার আগেও বলেছি, উৎসবে এসে আমরা যা যা পেয়েছি, তাতে মুগ্ধ। বাংলাদেশের ছবি প্রথমবার এতটা পথ এল, সবার ভালোবাসা পেল, প্রশংসিত হলো, এই সম্মানটাই-বা কম কী! যেদিন আমাদের ছবি কানে নির্বাচিত হওয়ার খবর পেয়েছিলাম, সেদিনই পুরস্কার পেয়ে গেছি। যে কয়েকটা দিন ছিলাম, জীবনের অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছি। সবাই যে সম্মান দিয়েছেন, তার কোনো তুলনাই হয় না। অনেক অনেক অমূল্য স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরব। এগুলো পুরস্কারের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।’