আলমগীরের স্মৃতিতে দিলীপ কুমার
‘ভাইদের লুকিয়ে লুকিয়ে খাসির মাংস ও চারটা করে ডিমের অমলেট খেতেন’
প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন দিলীপ কুমার। সেবার চার দিন ছিলেন তিনি। তাঁর দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন অভিনেতা আলমগীর। তাঁর স্মৃতিতে উঠে এসেছে ঘরোয়া দিলীপ কুমারের ছবি।
হোটেল শেরাটনে উঠেছিলেন দিলীপ কুমার। টানা তিন দিন আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। দিলীপ কুমারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই ভাই। দেখলাম তিনি অনেক রসিক। ভোজন বিলাসীও ছিলেন। ভাইদের লুকিয়ে লুকিয়ে খাসির মাংস ও চারটা করে ডিমের অমলেট খেতেন। হোটেলে বসে টাকা দিয়ে ভাইদের শপিংয়ে পাঠাতেন। খুশি হয়ে শপিংয়ে চলে যেতেন ভাইয়েরা। আমাকে বলতেন, দেখো তো ওরা গেছে কি না। আমি বলতাম, হ্যাঁ, চলে গেছেন। তখন তিনি আমাকে বলতেন, নিচে থেকে চারটা ডিমের অমলেট আনো। আনার পর এক বসাতেই চারটি ডিমের অমলেট খেয়ে ফেলতেন। রাতের খাবারের সময় দুই ভাইকে তাঁর টেবিলে বসতে দিতেন না। বলতেন, তোমরা অন্য টেবিলে বসো।
তাঁরা অন্য টেবিলে চলে গেলে আমাকে তাঁর সামনে বসতে বলতেন, যাতে ভাইয়েরা তাঁর খাওয়া না দেখতে পায়। আমি তাঁর সামনে বসতাম। এরপর তিনি গপাগপ খাসির মাংস খেয়ে চলতেন। এ নিয়ে খুব মজাও করতেন। ফাঁকে ফাঁকে অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন করতাম। আমাকে অনেক টিপস দিয়েছেন তিনি। টিপসগুলো আমার অভিনয় জীবনেও কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি।
সেবার সরকারিভাবে ওসমানী মিলনায়তনে ও মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মিরপুর স্টেডিয়ামে তাঁকে ঘোড়ার গাড়িতে করে ঘোরানো হয়েছিল। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি ছিলেন। পুরস্কার বিজয়ীদের অনেকের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনেও তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।