বুবলী প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, ‘বুবলীকে দেখে আমার মনে হয়েছে তিনি একজন বুদ্ধিমতী মেয়ে। এখনকার পৃথিবীতে ভালো চেহারা হলেই হবে না, ভালো অভিনয়ের জন্য মেধাবী হতে হবে। বুবলীকে আমার কাছে একজন মেধাবী অভিনেত্রী মনে হয়। প্রয়োজনে কতটুকু কথা বলা দরকার, কীভাবে বলা দরকার, এসব বিষয়ে বুবলী দারুণ। তাঁকে আমার পরিশীলিত, মার্জিত মনে হয়।’
এই ছবিতে কাজের ব্যাপারে বুবলী বলেন, ‘এটি আমার জন্য চমৎকার ব্যাপার। চয়নিকা আপা যখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন, আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম। আমি একজন মেয়ে হিসেবে চয়নিকা আপার জন্য গর্ব করি। তাঁর কাজের আলাদা একটা স্টাইল আছে।’
এদিকে কাজটি চূড়ান্ত হওয়ার পরও বুবলী জানতেন না এই ছবিতে তাঁর সহশিল্পী মাহফুজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আপা বলতেন, “তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।” যখন মাহফুজ ভাইয়ের নামটি জানতে পারলাম তখন মনে হলো, আসলেই কি সত্যি? কারণ, ছোটবেলা থেকেই মাহফুজ ভাইয়ের অভিনয়ের বড় ভক্ত আমি। তাঁর অভিনয়, তাঁর লুক, তাঁর এক্সপ্রেশন—ভক্তদের কাছে স্বপ্নের মতো। এটি আমার জন্য বড় পাওয়া।’
এ ব্যাপারে পরিচালক বলেন, ‘মাহফুজকে আমার প্রথম ছবিতে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নেওয়া হয়নি। এবার সেই সুযোগ হচ্ছে। আমাদের দুজনের বন্ধুত্ব সেই ১৯৮৮ সাল থেকে। আমাদের দুজনের কাজের রসায়নটা শক্তিশালী। এ কারণে তাঁর সঙ্গে যেকোনো কাজ সহজ হয়, ভালো কাজ হয়।’
চয়নিকার চোখে পছন্দের নায়িকা বুবলী। তাঁকে নেওয়া প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘এই ছবির চরিত্রে ভালো মানাবে বুবলীকে। আমার কাছে মনে হয়, কলকাতার অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের একটা ছাপ আছে বুবলীর মধ্যে। মেয়েটি শান্ত, ঠান্ডা মাথার। তাঁর মধ্যে সরল একটি ব্যাপার আছে। তা ছাড়া বুবলী অভিনীত ওয়েব ফিল্ম “টান” দেখে মুগ্ধ হয়েছি।’
কবে থেকে শুটিং শুরু হবে? জানতে চাইলে পরিচালক বলেন, ‘একটু সময় নিচ্ছি। কারণ, এবার ছবির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ নিখুঁতভাবে শেষ করে শুটিং শুরু করতে চাই। আশা করছি ১ জুন থেকে শুটিং শুরু করতে পারব।’
‘প্রহেলিকা’ ছবির গল্প সম্পর্ক নিয়ে। এর গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপ—সবগুলোই লিখেছেন পান্থ শাহরিয়ার।