লড়াই চালিয়ে যাবেন নিপুণরা

বিজয় ঘোষণার দিনে ফুল হাতে নিপুণ
প্রথম আলো ফাইল ছবি

চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ মামলায় বিবাদীর তালিকায় আটজন আছেন বলে জানান জায়েদ খানের আইনজীবী নাহিদ সুলতানা। বাদীরা হলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সোহানুর রহমান সোহান, মোহাম্মদ হোসেন, নিপুণ আকতার, মোহাম্মদ হোসেন জেমীসহ আটজন।

গতকাল শপথ অনুষ্ঠানের পর সমিতির অফিসে নিপুণ ও ইলিয়াস কাঞ্চন
ছবি: সংগৃহীত

এদিকে এই আদেশের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণাদি নিয়ে আইনি লড়াই চালাবেন বলে জানিয়েছেন বিবাদীরা। তাঁরা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে বিজয়ী সাইমন সাদিক বলেন, ‘এখনই কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। এতটুকুই বলি, আইনি লড়াই চালিয়ে যাব আমরা। এখন রায়ের কাগজপত্র হাতে পেলে, আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের প্যানেলের সবাই।’ আজ সোমবার বিকেলে নিপুণের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হবে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে মঙ্গলবার আবেদন শুনানির জন্য দাখিল করা হবে। তা না হলে আবেদনটি বুধবার চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

সভাপতি পদপ্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ প্যানেল
ছবি: সংগৃহীত

এই রিটের অন্যতম বিবাদী আপিল বোর্ডের এক সদস্য মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার আছে। জায়েদ খান মহামান্য হায়কোর্টে রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট রায় স্থগিত করছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা।’
এখন আপনারা কী করবেন, জানতে চাইলে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও আপিল বোর্ডের এই সদস্য বলেন, ‘বাদীর আইনজীবী এটি ভালো বলতে পারবেন। আমাদের আইনজীবী এই রায়ের কাগজপত্র তুলবেন। এরপর তা দেখবেন, কীভাবে এই রায়ের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে লড়া যায়। এর বেশি এখন আর কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করছি, ন্যায়বিচার পাব আমরা।’
এ ব্যাপারে জায়েদ খান বলেন, ‘আইনের আশ্রয় তাঁরা নিতেই পারেন। তবে আজকের এ রায়ের বিরুদ্ধে আর কিছু করার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট অন্য মামলা করে আইনি লড়াই চালাতে পারেন তাঁরা।’